এই গাড়িতেই হামলা হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ফের নিরাপত্তাবাহিনীর উপরে হামলা চালাল যৌথ মঞ্চের জঙ্গিরা। মারা গেলেন এক জওয়ান। কিন্তু আলফা স্বাধীন রক্তমাখা বাসের ছবি সাংবাদিকদের না পাঠানো পর্যন্ত জওয়ানের মৃত্যুর খবরও গোপন রাখে সেনাবাহিনী।
গত কাল বিকেল থেকে অরুণাচলের লংডিংয়ে খাপলাং জঙ্গিদের সঙ্গে আসাম রাইফেলস ও সেনাবাহিনীর অভিযান চলছিল। আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জওয়ানদের কনভয়ে ফিরছিল। তখনই সেনাবাহিনীর ১১ গ্রেনেডিয়ার রেজিমেন্টের কনভয় লক্ষ্য করে নামসাইয়ের পিয়ঙে গ্রেনেড হানা চালায় জঙ্গিরা। কনভয়ের দু’টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও জওয়ান হতাহত হননি। জওয়ানরা পাল্টা গুলি চালান। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ফের জঙ্গি ও জওয়ানদের গুলির লড়াই চলে। হামলার দায় নিয়ে আলফা স্বাধীন দাবি করেছে, দ্বিতীয় হামলায় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন জওয়ান হতাহত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী দাবি করেছিলেন সেনা কনভয়ে কারও ক্ষতি হয়নি। সন্ধ্যায় আলফা স্বাধীন ঘটনাস্থলের একটি ছবি পাঠায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে হলুদ বাসের ডান দিকে পিছনের অংশে রক্ত ভরা। বোঝাই যাচ্ছিল গুরুতর জখম না হলে অমন রক্তপাত সম্ভব নয়। তা নিয়ে সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীত নিউটনকে ফোন করা হলে তিনি স্বীকার করেন হামলায় নায়েক রাকেশ কুমার জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছেন। তাঁর বাড়ি রাজস্থানের বিকানেরে।
এই প্রথম ঘটনার পরে ঘটনাস্থলের ছবি পাঠালো আলফা স্বাধীন। অর্থাৎ ঘটনার পরে পুলিশ, প্রশাসন ও সেনাকর্তারা যখন নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা এলাকা পর্যবেক্ষণ করছিলেন, তখন আলফারও কোনও লিংকম্যান সেখানে হাজির থেকে ছবি তুলে আলফা স্বাধীনের প্রচার বিভাগে পাঠিয়েছে। জোড়া হামলার পরে এই ঘটনা বেশি করে নিরাপত্তাবাহিনীর মুখ পোড়ালো।
প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতা চালানোর জন্য যৌথ মঞ্চের জঙ্গিদের একটি দল মায়ানমার থেকে অরুণাচল হয়ে উজানি অসমে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দারা খবর পেয়েছিলেন। তাই জঙ্গি দমনে অরুণাচল ও তিনসুকিয়ায় নাগাড়ে অভিযান চলছে। অন্য দিকে, এনআইএ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে নাগাল্যান্ডের কোহিমায় গ্রেফতার হয়েছে এনএসসিএন (কিতোভি-নেওপাক) গোষ্ঠীর ব্রিগেডিয়ার আহেতো চপি ও তার দুই সঙ্গী। তাদের কাছে মেলে একটি এসইউভি গাড়ি, একে-৫৬ রাইফেল, একটি গ্লক-১৭ ও আরও একটি পিস্তল। ১,৩২,৩২০ টাকা, অনেক মদের বোতল, ১৭৬ রাউন্ড কার্তুজ। সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে বিশেষ এনআইএ আদালত তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। পাশাপাশি মণিপুরের উখরুল জেলার কাস্সোমে মায়ানমার সীমান্তে হানা দিয়ে আসাম রাইফেলস ও পুলিশ কম্যান্ডোরা একটি লাইট মেশিনগান, ৪০টি গুলি, একটি এম-৭৯ গ্রেনেড লঞ্চার, দুটি লাথোড শেল, একটি দেশি রাইফেল, চারটি .২২ বোরের পিস্তল, একটি .৩২ বোরের রিভলভার ও ১৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। মোরেতে এক কেসিপি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে একটি রাইস কুকার থেকে দু’টি চিনা গ্রেনেড মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy