গারো পাহাড়ে মিলল বিস্তর প্রত্নদ্রব্য। সেগুলি নব্যপ্রস্তরযুগ থেকে শুরু করে লৌহযুগ পর্যন্ত বিস্তৃত। সেই সঙ্গে মিলেছে ইংরেজ আমলের সামগ্রীও। তুরার কাছেই রংখং সোংগিত্তাল এলাকায় জুন মাসের শেষ দিকে প্রথম বার প্রত্নসামগ্রী মেলার খবর এসেছিল। পরে নেহুর প্রত্নত্বত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক তিলক ঠাকুরিয়া ও তিন স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্রছাত্রী টেংচিলসি টি সাংমা, চেরিমচি টি সাংমা ও টিয়ানা টারিন ডি আরেং অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ওই গ্রামে অভিযান চালান।
ঠাকুরিয়া জানান, অধিকাংশ সামগ্রীই প্রাগৈতিহাসিক যুগের। ঐতিহাসিক জন ওয়াকার প্রথম ওই অঞ্চলে নব্যপ্রস্তর যুগের অবশেষ মেলার কথা জানিয়েছিলেন। পরে অন্যান্য সূত্রেও গারো পাহাড়ে প্রস্তরযুগের সামগ্রী মেলার তথ্য জানা যায়। রংখংয়ে মেলা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পাত্র, লোহার সামগ্রী, দা, কোদাল। পাওয়া গিয়েছে ধাতব বালাও। ঠাকুরিয়া জানান, অনেকদিন থেকেই এই এলাকায় প্রত্নদ্রব্য মিলছিল। কিন্তু স্থানীয় মানুষের সচেতনতার অভাবে তা নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সংসারেক গ্রাম ঘিরে গারোদের প্রাগৈতিহাসিক বসতি তৈরি হয়েছিল। সামগ্রীগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করলে ও আশপাশের এলাকায় খনন চালালে গারো সভ্যতার বিস্মৃত ইতিহাস জানা সম্ভব হবে। বিভিন্ন অনুমতির পরে শীঘ্রই এলাকায় খননে নামবে নেহুর প্রত্নত্বত্ত্ব বিভাগের দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy