পাটিয়ালা হাইকোর্টে সজ্জন কুমার। ছবি: পিটিআই।
শিখ বিরোধী দাঙ্গা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তাঁর। তবে এখনই আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত নন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। বরং বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। তাতে ৩০ দিনের সময় চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিন সন্তান এবং আট নাতি-নাতনি রয়েছে তাঁর। সকলের সঙ্গে বসে বিষয়-আশয় সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে নিতে সময় লাগবে। শুক্রবার তাঁর আবেদনের শুনানি হবে।
প্রায় তিন দশক পুরনো মামলাটিতে ক্ষতিগ্রস্তদের হয়ে নিখরচায় প্রতিনিধিত্ব করছেন আইনজীবী এইচএস ফুলকা। পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সদস্য তিনি। সজ্জন কুমারের আবেদন নিয়ে তিনি বলেন,‘‘দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন সজ্জন কুমার। যাতে আত্মসমর্পণ করতে ৩০দিন সময় দেওয়া হয় তাঁকে। আগামিকাল আদালতে আবেদনটির বিরোধিতা করব আমরা। যাতে কোনওভাবেই সেটি মঞ্জুর না হয়।’’
এ দিকে, শিখ বিরোধী দাঙ্গার একটি দ্বিতীয় মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার পাটিয়ালা হাইকোর্টে হাজিরা দেন সজ্জন কুমার। দিল্লির সুলতানপুরী হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানাবতী কমিশনের সুপারিশে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তবে তাঁর আইনজীবী অনিল শর্মা আদালতে না আসায় মামলার শুনানি ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্নাটকে দাস প্রথা! ৫২ জন আদিবাসীকে আটকে রেখে চাবুকপেটা, যৌন নির্যাতন
আরও পড়ুন: কাল থেকে পাঁচ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, মাঝে খোলা শুধু ২৪ তারিখ, ভোগান্তির আশঙ্কা
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর শিখ বিরোধী দাঙ্গায় কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে তাতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ ছিল দিল্লির রাজ নগরের এক পরিবারের ৫ সদস্যকে খুনেরও। সেই মামলায় সোমবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তাঁর যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy