বক্তব্য রাখছেন অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
প্রিয়ঙ্কা বঢরা পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর আজই প্রথম সে রাজ্যে গেলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। কানপুরে পৌঁছেই দলের কর্মিসভায় বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রতিদিন একজন করে প্রধানমন্ত্রী হবেন!’’ অমিত যখন উত্তরপ্রদেশে, নরেন্দ্র মোদী আজ ছিলেন গুজরাতে। সেখান থেকেই লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ফের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ করার আবেদন জানালেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোট ঘোষণা করেছে। দেশে বিরোধীদের একজোট করতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ওই তৎপরতা যে মোদী-শাহদের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে, তা স্পষ্ট বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁদের লাগাতার আক্রমণ থেকেই। মহাজোট সম্পর্কে অমিতের তির্যক মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতায় এলে ছ’দিনে ছ’জন প্রধানমন্ত্রী হবেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী হবেন বহেনজি (মায়াবতী), মঙ্গলবার অখিলেশ যাদব, বুধবার মমতা দিদি, বৃহস্পতিবার শরদ পাওয়ার। দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী হবেন শুক্রবার, শনিবার এম কে স্ট্যালিন। রবিবার ছুটির দিন।’’ মমতার ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করে অমিতের মন্তব্য, ‘‘ওখানে ২৩টি দল হাজির হয়েছিল। আর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন ন’জন।’’
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে ‘ইউপি কে লড়কে’ বলে আজ কটাক্ষ করেছেন অমিত। ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এসপি-কংগ্রেস জোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের দুটি ছেলে (অখিলেশ এবং রাহুল) বিধানসভা ভোটে একজোট হয়েছিল। আমাদের কর্মীরা সেই জোট গুড়িয়ে দিয়ে ৩২৫টি আসনে জিতেছিল।’’
কানপুরে অমিতের দাবি, দেশের উন্নয়নের জন্য মোদীর মতো ৫৬ ইঞ্চির ছাতির প্রয়োজন। আর সুরাতে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, আগামী লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিক দেশবাসী। তাঁর কথায়, ‘‘তিরিশ বছর দেশ ত্রিশঙ্কু লোকসভা দেখেছে। যার ফলে থমকে গিয়েছে উন্নয়ন। আজ দেশের এত উন্নতির কারণ কেন্দ্রে একটি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কিন্তু জোট সরকার ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন থমকে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy