তুমুল হট্টগোলে ফের মুলতুবি লোকসভা। তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্পিকার। ছবি: পিটিআই।
তুমুল হট্টগোলে ফের মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভা। আজও উঠল না অনাস্থা প্রস্তাব। একটানা হট্টগোলের জেরে গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত (মাঝে শনি-রবি ছুটি ছিল) রোজ যে ভাবে মুলতুবি করতে হল অধিবেশন, তাতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
তেলুগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস অনাস্থা এনেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সোমবারই অনাস্থা প্রস্তাব ওঠার কথা ছিল সভায়। কিন্তু এআইএডিএমকে সাংসদদের তুমুল বিক্ষোভে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় সভা। ফলে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি তো দূরের কথা, আলোচনাও হয়নি গতকাল।
আজ, মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাবটি সভায় উত্থাপিত হবে বলে আশা করেছিল বিরোধী দলগুলি। সেই মতো তেলুগু দেশম এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস হুইপ জারি করে এবং দলের সব সাংসদকে লোকসভায় উপস্থিত থাকতে বলে। কিন্তু লোকসভায় আজকের ছবিটাও ছিল গতকালের মতোই। ফলে স্পিকার আগামী কাল পর্যন্ত মুলতুবি করে দিয়েছেন সভা।
‘‘এত দুঃখজনক অবস্থা দেশ আগে কখনও দেখেনি। এটা ঠিক হচ্ছে না। সভায় শৃঙ্খলা নেই, তাই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এগনো যাচ্ছে না,’’—মঙ্গলবার এমনই বলেছেন সুমিত্রা মহাজন।
আগামী কাল ফের বসবে লোকসভা। তেলুগু দেশম এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস ফের অনাস্থা প্রস্তাবটি তোলার দাবিতে সরব হবে। কিন্তু যে ভাবে একটানা হট্টগোল চলছে, তাতে অনাস্থা প্রস্তাবের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছে না রাজনৈতিক শিবির।
আরও পড়ুন: চন্দ্রবাবুর পাল্টা চালেই বিপাকে বিজেপি
অনাস্থা প্রস্তাবটি যদি শেষ পর্যন্ত ওঠে, তা হলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এটাই হবে প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, এআইএমআইএম এবং আরও কিছু দল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবে।
আরও পড়ুন: বিহার বিজেপিকে বার্তা নীতীশের
স্পিকারকে বাদ দিলে এই মুহূর্তে লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৩৯। অর্থাৎ ২৭০ জন সাংসদের সমর্থন পেলেই সরকার টিকে যাবে। বিজেপি-র একার হাতেই রয়েছে ২৭৪ জন সাংসদ (২ জন মনোনীত)। অনেকগুলি শরিক দলের সমর্থনও রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। এআইএডিএমকে-র ৩৭ জন, বিজু জনতা দলের ২০ জন এবং টিআরএস-এর ১১ জন সাংসদ ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন না। ফলে সভার আকার আরও ছোট হয়ে যাবে। তাই অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি হলেও সরকার পড়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
বিরোধীরা অবশ্য অনাস্থা প্রস্তাবকে নৈতিক লড়াই হিসেবে দেখছেন। এই অনাস্থাকে ঘিরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের একটা ছবি তুলে ধরতে চান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy