Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

গজেন্দ্র-বিতর্কে পুণেতে থমকাল ডিরেক্টর নিয়োগ

চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে অচলাবস্থার জেরে এ বার থমকে গেল ডিরেক্টর নিয়োগের প্রক্রিয়া। পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-এর বর্তমান ডিরেক্টর ডি জে নারায়ণের পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৮ জুলাই।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:২০
Share: Save:

চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে অচলাবস্থার জেরে এ বার থমকে গেল ডিরেক্টর নিয়োগের প্রক্রিয়া।

পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-এর বর্তমান ডিরেক্টর ডি জে নারায়ণের পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৮ জুলাই। পরবর্তী ডিরেক্টরের খোঁজে আগামী সোমবার আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার কথা ছিল নয়া চেয়ারম্যান গজেন্দ্র চৌহানের অধীন একটি প্যানেলের। কিন্তু ছাত্ররা বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ওই প্যানেলের কোনও সিদ্ধান্তই মানা হবে না। এর পর কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে ওই ইন্টারভিউ স্থগিত হয়ে যায় বলে খবর।

চেয়ারম্যান পদ থেকে গজেন্দ্রর ইস্তফা চেয়ে পড়ুয়াদের ধর্মঘট আজ ৩০ দিনে পড়ল। ইতিমধ্যেই ছাত্রদের সমর্থনে ইস্তফা দিয়েছেন এফটিআইআই-এর পরিচালন পর্ষদের তিন সদস্য— সন্তোষ শিবন, পল্লবী জোশী এবং জাহ্নু বরুয়া। সরব হয়েছেন আদুর গোপালকৃষ্ণণ, অনুপম খের, ঋষি কপূর, রণবীর কপূর, অমল পালেকর, রেসুল পুকুট্টি, কিরণ রাও, রাজকুমার রাও, সুধীর মিশ্রের মতো অনেকেই। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন আরও দুই পরিচালক কুন্দন শাহ এবং আজিজ মির্জা। এ দিন কুন্দনের মন্তব্য, ‘‘এমন এক জনকে নিয়োগ করে কেন্দ্র কী প্রমাণ করতে চাইছে? এটা দুঃখজনক যে, এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও গজেন্দ্র পদত্যাগ করছেন না।’’ একই সুরে মির্জাও বলেন, ‘‘যেখানে কেউ চাইছেন না, সেখানে চৌহানের পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত। পড়ুয়ারাও এক টানা এ ভাবে প্রতিবাদ করে বোকামি করছেন।’’

যে যা-ই বলুন, নিজের পদ ছাড়তে নাছোড় গজেন্দ্র। তিনি আজ জানান, এফটিআইআই ঘুরে তাঁর ‘সন্তানসম’ পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকেই তাঁকে বারণ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘হয়তো সতর্কতার জন্যই আমায় যেতে বারণ করা হয়েছে।’’ তবে সকলের মতো ওই প্রতিষ্ঠানে পরিস্থিতির উন্নতি যে তিনিও চাইছেন, এ দিন সে কথা জানিয়ে গজেন্দ্র বলেন, ‘‘ছাত্র প্রতিনিধিদের আমি একাধিক বার মেসেজ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছি। তবে, তাঁরা রাজি হননি। এক বার যদি তাঁরা কথা বলেন, আমি নিশ্চিত তাঁরা আমার বন্ধু হয়ে যাবেন।’’

ইতিমধ্যে গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগ নিয়ে আজ কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছে বিরোধী কংগ্রেস। চেয়ারম্যান পদে প্রস্তাবিত নামের তালিকায় অমিতাভ-রজনীকান্ত-গোপালকৃষ্ণণেরা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র কেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেতা গজেন্দ্রকেই নিয়োগ করেছে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অরুণ জেটলি এই নিয়োগটিকে কেন্দ্রের সেরা সিদ্ধান্ত নয় বলে স্বীকার করেছেন— গত শুক্রবার টুইটারে এই দাবি করেন অস্কারজয়ী রেসুল পুকুট্টি। তার পরেই কেন্দ্র আত্মপক্ষ সমর্থনে জানায়, ওই পরিচালক-অভিনেতাদের অনেকেরই প্রতিষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট সময় ছিল না। সেই দিক থেকে গজেন্দ্র ওই পদের জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। তাই তাঁকেই নিয়োগ করা হয়।

কেন্দ্রের এই যুক্তি মানতে নারাজ কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, এক জন পিওনের কাছেও তো প্রচুর সময় থাকে! অভিনেতা তথা ওই দলের মুখপাত্র রাজ বব্বর এ দিন বলেন, ‘‘জেটলিকে এর উত্তর দিতে হবে। যদি তিনি না পারেন, তা হলে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে উত্তর চাইবে।’’ পুরনো কৌশল ব্যবহার করে কেন্দ্র সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে— এই অভিযোগ তুলে তাঁর মত, গাফিলতি চৌহানের নয়, নিয়োগকারীদেরই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE