অলোক বর্মা ও রাকেশ আস্থানা।
এ বার কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের দফতরে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাকেশ আস্থানার তোলা অভিযোগ অস্বীকার করলেন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা।
সিবিআই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে তাঁর সংস্থারই স্পেশাল ডিরেক্টর আস্থানা অভিযোগ তুলেছিলেন, বর্মা হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ বাবু সানার থেকে দু’কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। দু’দিন আগে লিখিত ভাবে ভিজিল্যান্স কমিশনের প্রশ্নমালার জবাবে অভিযোগ অস্বীকার করেন বর্মা। আজ দুপুরে তিনি সিভিসি-র দফতরে যান। সূত্রের খবর, বর্মা প্রথমে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরির সঙ্গে দেখা করেন। পরে ভিজিল্যান্স কমিশনার শরদ কুমারেরও মুখোমুখি হন। কমিশন সূত্রের খবর, অন্য এক জন ভিজিল্যান্স কমিশনার ছিলেন না বলে আজ বর্মার বয়ান নথিবদ্ধ হয়নি। শুক্রবার তিনি ফের কমিশনে যাবেন।
সরকারি সূত্রের খবর, আস্থানাও আজ ভিজিল্যান্স কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আস্থানাই গত ২৪ অগস্ট প্রথম বর্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। সিবিআইয়ে আস্থানার নিয়োগ নিয়ে আগে থেকেই বর্মার আপত্তি ছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় আস্থানাকেই সিবিআই ডিরেক্টর করতে চেয়েছিল। ক্যাবিনেট সচিবের কাছে আস্থানার অভিযোগের পরেই সিবিআইয়ের দুই শীর্ষকর্তার বিবাদ নতুন মোড় নেয়। ১৫ অক্টোবর বর্মার নেতৃত্বে সিবিআই সেই সতীশ বাবু সানার অভিযোগের ভিত্তিতেই আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করে। অভিযোগ, আস্থানা মাংস রফতানিকারী মইন কুরেশির বিরুদ্ধে মামলা লঘু করে দেওয়ার জন্য ২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। দুবাইয়ের ব্যবসায়ী মনোজ প্রসাদের মাধ্যমে সেই ঘুষ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে জানা যায়, মনোজ দুবাইয়ে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর চর হিসেবে কাজ করতেন। পরিস্থিতি সামলাতে ২৪ অক্টোবর মাঝরাতে মোদী সরকার বর্মা ও আস্থানাকে ছুটিতে পাঠায়। দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে বর্মা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করায়, আদালত সিভিসি-কে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy