বিয়ে করা মানে স্ত্রীর উপর মালিকানা পেয়ে যাওয়া নয়। সম্প্রতি এক মামলায় স্বামীকে ভর্ৎসনা করে এমনটাই জানিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। দম্পতির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত স্বামী। তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। অভিযুক্তকে ভর্ৎসনাও করেছে আদালত। বিচারপতি বিনোদ দিবাকরের মন্তব্য, বৈবাহিক সম্পর্কের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন স্বামী। আদালতের মতে, স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনের সংজ্ঞায় অন্যতম একটি বিষয় হল দম্পতির মধ্যে সহজাত গোপনীয়তা। এই ধরনের বিষয়বস্তু সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা ওই গোপনীয়তাকে লঙ্ঘন করে।
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসাকে স্বামী সম্মান করবেন, এটাই আশা করা হয়। বিশেষ করে দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের প্রেক্ষিতে তা আরও বেশি কাম্য। আদালত আরও জানিয়েছে, বিয়ে কখনোই স্ত্রীর উপর স্বামীর মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণে অনুমোদন দেয় না। স্ত্রীর গোপনীয়তার অধিকারককেও খর্ব করে না। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্ত্রী কখনোই স্বামীর বর্ধিত অংশ নন। তাঁরও নিজস্ব অধিকার এবং ইচ্ছা রয়েছে। তাঁর গোপনীয়তাকে সম্মান করা শুধুমাত্র আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নৈতিক বাধ্যবাধ্যকতাও বটে।
আরও পড়ুন:
২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তাঁর স্ত্রী। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় মামলা রুজু হয়। ওই মামলা খারিজ করতে চেয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে জানান, যেহেতু অভিযোগকারী মহিলা অভিযুক্তের স্ত্রী, তাই এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।