সলমন খানের দাপট নিয়ে প্রায় সকলেই ওয়াকিবহাল। তিনি নিজের মর্জির মালিক। বাঁধাধরা সময় মেনে কাজ করতে পছন্দ করেন না। তাঁর জন্য অনেক সময় সহ-অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের অপেক্ষাও করতে হয়েছে। কিন্তু সলমন চলেন নিজের সময় অনুযায়ী। কিন্তু এ বার যেন খানিক ব্যাতিক্রমী ঘটনাই ঘটালেন সলমন। দিনে ১৪ ঘণ্টা করে শুটিং করলেন। পাঁজরে চোট তা-ও ছাড় পেলেন না অভিনেতা।
ইদে মুক্তি পাচ্ছে ‘সিকন্দর’। ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকের উন্মাদনা তুঙ্গে। মাথায় মৃত্যুর খাঁড়া নিয়ে এই ছবির শুটিং করেছেন সলমন খান। লরেন্স বিশ্নোইয়ের থেকে একের পর এক খুনের হুমকি পেলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুটিং জারি রেখেছিলেন তিনি। তবু বাড়তি কোনও ছাড় পাননি পরিচালক মুরগাদোসের তরফ থেকে। ২৩ মার্চ ছিল এই ছবির ঝলক মুক্তির অনুষ্ঠান। সেখানেই সলমন ‘সিকন্দর’-এর সেটে কাজ করার অভিজ্ঞতা শোনালেন।
অভিনেতা জানান, কী ভাবে পরিচালক মুরুগাদোস তাকে ক্রমাগত চাপ দিতেন, বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যে, তাঁর সেরাটা দেখানোর জন্য। সলমন আরও জানান, তিনি ‘সিকান্দর’-এর জন্য ভোরে শুটিং করেছিলেন, যা তিনি আগে অন্য কোনও ছবির জন্য করেননি। এখানেই শেষ নয়, এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে পাঁজরে বড় আঘাত লাগে তাঁর। সেই সময়ও সলমনকে ১৪ ঘন্টার শুটিং করতে হয়। আঘাত সত্ত্বেও, প্রায় দিনই সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শুটিং করেন। সলমন বলেন, ‘‘মুরুগাদোস আমাকে অ্যাকশন সিকোয়েন্সেও চাপ দিতেন।’’ তিনি মজা করে বলেন, ‘‘যখন কাজ কঠিন হয়ে যায়, তখন কঠিন কাজও এগিয়ে যায়।’’