কে পলানীস্বামী ও পনীরসেলভমের
সন্ধিক্ষণে তামিলনাড়ুর রাজনীতি। এক দিকে ডিএমকে-র মঞ্চে সুপারস্টার রজনীকান্ত, কমল হাসান। অন্য দিকে বিবাদ ভুলে হাত মেলানোর ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী কে পলানীস্বামী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভমের। সেই সূত্রেই শশিকলা ও তাঁর ভাইপো টি টি ভি দীনাকরণের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন পলানীস্বামী। জয়ললিতার মৃত্যুর পরে এডিএমকে ও ডিএমকে— দুই শিবিরের তৎপরতার মধ্যে তামিল রাজনীতিতে আজ খোঁজ মিলল নতুন মেরুকরণের।
এডিএমকের দুই শিবিরের সঙ্ঘাত যে ক্রমেই কমে আসছে, কিছু দিন থেকে তার ইঙ্গিত মিলছিল। কিন্তু বিষয়টি আজ গতি পেয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম চেন্নাইয়ে তাঁর শিবিরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে শশিকলা-দীনাকরণের কর্তৃত্বকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেন। বৈঠকে প্রস্তাব নেওয়া হয়, এডিএমকে-র উপ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীনাকরণের নিয়োগ অবৈধ। দীনাকরণ দলে যে সব পদাধিকারী নিয়োগ করেছেন, সেগুলিকেও খারিজ করা হয়েছে। নিশানা করা হয়েছে শশিকলাকেও। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘‘সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শশিকলার নিয়োগ বিশেষ পরিস্থিতিতে হয়েছে। নিয়ম মেনে ওই পদের জন্য ভোট হয়নি।
আরও পড়ুন: আনসারির খোঁচা, পাল্টা বেঙ্কাইয়ার
’’ শশিকলার জেলযাত্রার কথা তুলে ধরা কিংবা তাঁর ভাইপোর কর্তৃত্বকে পুরোপুরি অস্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রীর আনা প্রস্তাবের পিছনে পনীরসেলভমের হাত দেখছেন অনেকে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে এডিএমকে-র দুই শিবিরের মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে পনীরসেলভম ও পলানীস্বামী— দু’জনেরই দিল্লি আসার কথা।
কেন পলানী-পনীররা হাত মেলাতে চাইছেন, তা স্পষ্ট হয়েছে। বিকেলে ডিএমকের মঞ্চে দুই সুপারস্টার রজনীকান্ত ও কমল হাসানকে দেখা যায়। ডিএমকে-র মুখপত্র ‘মুরাসোলি’-র ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy