চলতি শতককে ‘এশিয়ার শতক’ বলে মন্তব্য করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম বার চিন যাত্রার আগে চিনা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা অঞ্চলের দারিদ্র দূরীকরণে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করেন তিনি। কূটনৈতিক শিবিরের অবশ্য মত, যাত্রার প্রাক্কালে মোদী এমন ইতিবাচক বার্তা দিলেও একই সঙ্গে চিনের চোখে চোখ রেখে এগোতে চাইছে ভারত। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিনের প্রস্তাবিত আর্থিক করিডরকে আদৌ ভাল চোখে দেখা হচ্ছে না। অন্য দিকে, বেজিংও যে এই স্নায়ু-যুদ্ধে প্রস্তুত, তার স্পষ্ট বার্তা মিলেছে গত কাল সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। সেখানে কার্যত মোদীকে তুলোধোনা করে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘বিষাক্ত প্রতিযোগিতায়’ নামিয়ে আনতে পারে। এ-ও অভিযোগ করা হয়েছে, ‘ভারত এক দিকে চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। অথচ আর্থিক উন্নয়নের যে প্রবল সম্ভাবনা চিন তৈরি করেছে, তার সুযোগ নিতেও ছাড়ছে না।’ এই টানাপড়েনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর চিন সফর কোন পথে এগোয়, সেটাই এখন দেখার। সূত্রের খবর, সীমান্তে আচরণবিধি তৈরি, সমুদ্রপথে দু’দেশের সমঝোতা, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ বাড়ানো, দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতীয় রফতানি বাড়ানোর মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব পেতে চলেছে মোদীর সফরে। পাশাপাশি, দূরদর্শন এবং চিনা টেলিভিশন (সিসিটিভি)-এর মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আদান-প্রদান বিষয়ক একটি সমঝোতাপত্র সই হওয়ার কথা দু’দেশের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy