বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অন্যান্যদের সঙ্গে রোহিতের পরিবার। ছবি সংগৃহীত।
ফের ছাত্রবিক্ষোভে উত্তাল হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তেলঙ্গানা পুলিশ যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভূমিকা নিয়েও।
রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পরে বিক্ষোভ সামাল দিতে উপাচার্য পি আপ্পা রাওকে তখনকার মতো সরানো হলেও ফের তাঁকেই উপাচার্যের দায়িত্বে এনেছে কেন্দ্র। আর এতেই ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পিছনে এই উপাচার্যের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। মঙ্গলবার আপ্পা রাও দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাঁর দফতরে ভাঙচুর চালান কিছু পড়ুয়া। এর প্রতিবাদে ধর্মঘটে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পড়ুয়াদের মেসে খাওয়া-দাওয়া। কেটে দেওয়া হয় বিদ্যুতের লাইনও। পড়ুয়াদের অভিযোগ, রাতে উপাচার্যের নির্দেশে হস্টেলে ঢুকে এলোপাথাড়ি মারধর করে পুলিশ। পড়ুয়াদের অস্থায়ী রান্নাঘর ভেঙে ফেলা হয়। এমনকী খাবার জলের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। বেশ কয়েক জন পড়ুয়াকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার সারা দিন এই পরিস্থিতি চললেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, তিনি মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে একাধিক বার ফোন করেন এবং মেসেজ করেন। কিন্তু কোনও উত্তর মেলেনি!
বৃহস্পতিবার সকালে অশিক্ষক কর্মীদের ধর্মঘট উঠে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। মেস চালু হয়েছে, ফিরেছে বিদ্যুৎ। তবে ক্যাম্পাস এখনও থমথমে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, উপাচার্য ডাকলেও তেলঙ্গানা সরকারের নির্দেশ না থাকলে পুলিশ তাঁদের উপর ওই ভাবে তাণ্ডব চালাত না। অভিযোগ, বিজেপি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলছেন চন্দ্রশেখর রাও। সে কারণেই তাঁর পুলিশ এ ভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy