শুক্রবার রাতে মাচিল সেক্টরে পাক জঙ্গিদের হাতে মৃত্যু হয়েছিল এক সেনার। জঙ্গিরা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে মনজিৎ সিংহ নামে ওই জওয়ানের দেহ। সেই ঘটনা নিয়ে ফুঁসছে ভারতীয় সেনা। তার মধ্যেই ফের পাক সেনার গুলিতে প্রাণ গেল আর এক ভারতীয় জওয়ানের। পাক বাহিনীর এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। জোরদার হামলায় ও-পারের চারটি পাক সেনা চৌকি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনার আক্রমণে বেশ কয়েক জন পাক সেনা এবং জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেও একটি সূত্রের খবর।
সেনা সূত্রে খবর, কুপওয়ারা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কেরান সেক্টর। সেনার এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, সেখানেই পাক সেনার সঙ্গে ব্যাপক গুলির লড়াই চলে ভারতীয় বাহিনীর। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এক সেনার মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান এবং এক সাধারণ নাগরিকও।
শুক্রবার সন্ধে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভূস্বর্গ। সেই অশান্তি আজও রয়েছে। শনিবার সকালে পাকিস্তান সংঘর্ষ-বিরতি লঙ্ঘন করতেই পাল্টা পাল্টা গুলি চালায় ভারতীয় সেনা। বিএসএফ পোস্ট এবং সাধারণ মানুষদের লক্ষ করে সকালে হিরানগর সেক্টর, কাঠুয়া সেক্টর ও আরএস পুরায়ও ব্যাপক মর্টার হামলা চালিয়েছে পাক বাহিনী। পাশাপাশি চলেছে গুলিবৃষ্টি। তাতে নিহত হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও।
সেনা বাহিনী সূত্রের খবর, নিহত আঠাশ বছর বয়সি নিতিন সুভাষের বাড়ি মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলিতে। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এ দিন মর্টার হামলায় কেরন সেক্টরে আহত হয়েছেন এক বিএসএফ জওয়ান ও এক মহিলা। ওই জওয়ান চিকিৎসাধীন। পাক গুলিতে জখম শামিমা নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনা জানিয়েছে, কেরন সেক্টরে আজ দিনভর গুলির লড়াই চলেছে। সাধারণ মানুষকে তাই বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ দিকে, শ্রীনগরে গত কাল যে কার্ফু জারি করা হয়েছিল, আজ তা তুলে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কাল নওহাট্টার জামিয়া মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ছ’টি থানা এলাকায় কার্ফু জারি হয়েছিল। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় আজ তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy