খাপলাঙের মৃত্যুর পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বে জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব নিয়ে। আর সেটাই কাজে লাগিয়ে জঙ্গিদের দমনে নামছে কেন্দ্র।
খাংঘো কন্যাক এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘ইউএনএলএফডব্লিউ’-এর রাশও নিজের হাতে রাখার চেষ্টা শুরু করতেই বিরোধিতায় সরব হয়েছেন আলফা নেতা পরেশ বরুয়া। এই অন্তর্দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে আপাতত তাদের কোমর ভাঙতে মরিয়া কেন্দ্রও। এই পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বের জঙ্গি সমস্যা ও ভারত-মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ আইজলে মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচলপ্রদেশ ও নাগাল্যাণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বর্তমানে মায়ানমার সীমান্ত থেকে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারেন উভয় দেশের বাসিন্দারা। রাজনাথের কথায়, ‘‘এর সুবিধা নিয়ে দুষ্কৃতীরা এক দেশে অপরাধ করে অন্য দেশে লুকিয়ে থাকছে। চালু রয়েছে অস্ত্র ও মাদকের কারবারও।’’ সমাধান সূত্র খুঁজতে আজ একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত জানান রাজনাথ।
আরও পড়ুন: ‘রেকর্ড’ গড়েই অবসর নিলেন বিচারপতি কারনান
যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে পরেশ বলেছেন— প্রবীণ নেতারা নয়, এ বার যৌথ মঞ্চের দায়িত্ব নিক তরুণ নেতৃত্ব। বার্তা স্পষ্ট— কন্যাকের নেতৃত্ব তিনি মানতে রাজি নন। পরেশ বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আপসহীন লড়াইয়ের শিক্ষা দিয়েছেন খাপলাং। এ বার যুব প্রজন্ম মঞ্চের দায়িত্ব নিন। প্রবীণরা থাকুন উপদেষ্টা হিসেবে।’’
খাপলাঙের মৃত্যুর পরে পরেশ বরুয়া নেতৃত্ব নিতে তৎপর হবে বলে মনে করছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু অসমীয়া পরেশের নেতৃত্ব এনএসসিএন (খাপলাং)-এর নেতা নিকি সুমি-ইসাক সুমি বা মণিপুরের জঙ্গি নেতারা মানবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই বিবাদকে কাজে লাগিয়ে কন্যাকের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা শুরু করতে চাইছে দিল্লি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু যৌথ মঞ্চ এবং খাপলাং গোষ্ঠীর জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের ডাক দিয়েছেন। তবে রিজিজুর ডাকে কেউ সাড়া দেবেন না বলেই দাবি পরেশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy