গিরীশ করনাড
দু’বছরেও কিনারা হয়নি কন্নড় সাহিত্যিক এম এম কলবুর্গি হত্যা কাণ্ডের। সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও পাঁচ দিনেও ধরা পড়ল না সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের খুনিরা।
কিন্তু একের পর এক এমন ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে কর্নাটক সরকারের। যে কারণে রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিয়ে আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন। শনিবার রাজ্যের অন্তত ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্য বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে গোয়েন্দা দফতর। এঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে খুনের হুমকি পেয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন গিরীশ করনাড, বরাগুর রামাচন্দ্রাপ্পা, পাতিল পুত্তাপ্পা, চেন্নাবীর কানাভির মতো চিন্তাবিদরা। রাজ্যের প্রতিবাদী মুখের প্রথম সারিতে বরাবর থাকেন এঁরাই।
আরও পড়ুন: গৌরীর খুনিদের সম্বন্ধে তথ্য দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা সরকারের
তা ছাড়া লিঙ্গায়তদের পৃথক ধর্মের স্বীকৃতির দাবির সপক্ষেও এঁরা বেশির ভাগই মুখ খুলেছেন। লিঙ্গায়ত প্রশ্নটি আলাদা করে গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে। কারণ কলবুর্গি এবং গৌরী দু’জনেই লিঙ্গায়তদের দাবির সপক্ষে কলম ধরেছিলেন। গেরুয়া শিবির যদিও মনে করে, এতে হিন্দু সমাজের বিভাজনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
আপাতত গোয়েন্দা দফতর সূত্রের খবর, কার কতটা বিপদের আশঙ্কা তা আঁচ করে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বিশিষ্ট জনদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঝুঁকি কম হলে সর্ব ক্ষণের জন্য পাহারায় থাকবে এক জন সশস্ত্র পুলিশ। আর ঝুঁকি বেশি হলে আরও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়ির সামনেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন গৌরী। পর পর চারটে গুলির তিনটে তাঁকে ফুঁড়ে দেয়। একটি নিশানা ফসকে লাগে দেওয়ালে। পাঁচিলের গায়ে সেই গুলির ক্ষতচিহ্ন আর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজের খালি খোল পরীক্ষা করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, সম্ভবত বিদেশি কোনও বন্দুক থেকে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার কিন্তু ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল জানিয়েছে, বন্দুকটি দেশেই তৈরি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে গৌরী হত্যা নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করেছে রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy