বিগত কয়েক দিনে জোশীমঠের ৮০০-রও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাইল চিত্র ।
আর কোনও অস্থায়ী আশ্রয় শিবির বা মাথা গোঁজার ঠাঁই নয়, এ বার গাড়োয়াল হিমালয়ের ‘ডুবন্ত’ জনপদ জোশীমঠের সকল বাসিন্দাকে পাকাপাকি সরানোর বন্দোবস্ত করতে চাইছে প্রশাসন। চলছে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা। খোঁজ চলছে বসবাসযোগ্য উপযুক্ত জমিরও। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন চামোলি জেলার জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা। কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কাছেও এই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
জোশীমঠের ভূমিধসের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে হিমাংশু বলেন, ‘‘আমরা পুনর্বাসনের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পরামর্শ ও মতামত চাইছি। আমরা ওঁদের পরামর্শ চাই, যাতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আরও ভালভাবে করতে পারি। ক্ষতিগ্রস্তদের পরামর্শ নিয়ে অন্য জায়গায় তাদের পাকা বন্দোবস্ত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’’
হিমাংশু জোশীমঠের মানুষদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ভাবনার কথা বললেও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী বৃহস্পতিবার বলেন, জোশীমঠের মাত্র ২৫ শতাংশ ভূমিধসের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাকিরা নাকি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রাণ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রকম সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও ধামী জানান।
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি থেকে শুরু করে বিগত কয়েক দিনে জোশীমঠের ৮০০-রও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল ধরেছে শহরের রাস্তা-মন্দির-জমিতে। আতঙ্কে রাতারাতি ভিটেমাটি ছাড়া সেই শহরের বহু মানুষ। ঠাঁই হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের তরফে করা উন্নয়নকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে, হেলে পড়া এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলিকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy