পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
বিমানবন্দরে আর কোনও বাড়তি সুবিধা পাবেন না বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ ও রাবড়ীদেবী। রীতিমতো নোটিস জারি করে যাদব দম্পতির ‘ভিভিআইপি’ সুবিধা ছেঁটে দিল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। বিমান ছাড়ার আগে, শেষ মুহূর্তে নিজেদের গাড়িতে একেবারে টারম্যাকে গিয়ে বিমানে তাঁরা আর চাপতে পারবেন না। আর পাঁচজন সাধারণ যাত্রীর মতো নিয়ম মেনে বোর্ডিং পাস নিয়ে ‘সিকিউরিটি চেক’-এর ঘেরাটোপ পার হয়ে তাঁদের এ বার থেকে বিমানে চড়তে হবে।
মাওবাদী হানার আশঙ্কা থাকায় লালুপ্রসাদকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই নির্দেশে রাজনীতির ‘রঙ’ দেখছে আরজেডি। দলের মুখপাত্র মনোজ ঝা বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।’’ গত কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক-বিরোধী লালুপ্রসাদের উপরে প্রবল চাপ তৈরি করেছে বিজেপি। এক দিকে ইডি, আয়কর দফতর, অন্য দিকে সিবিআই যাদব পরিবারের উপরে একটার পর একটা অভিযোগ এনেছে। সম্প্রতি সিবিআই যাদব পরিবারে বা তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়েছে। লালুপ্রসাদ, রাবড়ীদেবী ও তেজস্বীর বিরুদ্ধে জমি-হোটেল কেলেঙ্কারিতে এফআইআরও দায়ের করেছে তারা।
এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাঁচীর নিম্ন আদালত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ষড়যন্ত্রের মামলার শুনানি শুরু করেছে। ন’মাসের মধ্যে ওই মামলার শুনানি শেষ হওয়ার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই, লালুপ্রসাদকে পটনা-রাঁচী-পটনা কার্যত ‘ডেলি প্যাসেঞ্জার’-এর মতো যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাড়ি থেকে গাড়িতে শেষ মুহূর্তে সোজা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঢুকে যান তিনি। বিমানে ওঠেন। ২০০৯ সালে কেন্দ্রের এক নির্দেশিকায় লালু-রাবড়ীর জন্য এই বিশেষ ‘ভিভিআইপি’ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়।
আরজেডির আশঙ্কা, সাধারণের সঙ্গে লাইনে দাঁড়ালে লালুপ্রসাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, ‘‘সব রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই নিয়ম মানতে হয়। এটা নতুন কিছু নয়। বার বার বলার পরেও লালুপ্রসাদ বা তাঁর নিরাপত্তরক্ষীরা ওই নিয়ম মানতে চাইছিলেন না। তাই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy