প্রতীকী ছবি।
পাত্রকে অপহরণ করে বিয়ে করার রীতিকে নিয়ে সরগরম বিহার। গত বছরের পুলিশ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে প্রতিদিন গড়ে ন’জন পাত্রকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে অপরিচিত কনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। দফতরের রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ কর্তারা।
এক পুলিশ কর্তা বলেন, “প্রাথমিক কথার পরে পণ দেওয়া নিয়ে গোলমালের জেরে অনেক সময়ে পাত্রপক্ষ বেঁকে বসে। সে ক্ষেত্রে বিয়েতে পরিবারের আপত্তি থাকায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে উভয় পক্ষই নবদম্পতিকে মেনে নেয়। আলোচনা করেই মিটিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ থেকেই যায়।”
কর্তারা যা-ই বলুন না কেন, রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। ২০১৭-য় ৩,৪০০ জন যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার আগের বছরে সংখ্যাটা ছিল ৩,০৭০। ২০১৫ সালে ৩,০০০ এবং ২০১৪ সালে ২,৫২৬ জন যুবকের বিয়ে দেওয়া হয়েছে এ ভাবে। অভিযোগ, প্রতি ক্ষেত্রেই হয় ওই যুবকদের বা তাঁদের পরিবারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এই বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিহারের সমাজবিজ্ঞানীরা অবশ্য এর মধ্যে নতুন কিছু দেখছেন না। তবে সম্প্রতি সংখ্যাটা বাড়তে দেখে চিন্তিত তাঁরা। সমাজবিজ্ঞানীদের কথায়, এই প্রথা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। পণপ্রথার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো পণের দাবি মেটাতে না পেরে পেশাদার অপরাধীদের দিয়েও তুলে আনা হয় পাত্রদের। তাতে খরচ অনেকটা কম পরে। এ ছাড়া, রাজনৈতিক নেতাদের কাজে লাগিয়েও বিয়ে করানো হয়। বিয়ের পরে আলোচনা করে সব মিটমাট হয়।
সম্প্রতি এক ইঞ্জিনিয়ারকে তুলে নিয়ে এসে বিয়ে দেওয়ার ছবি ভাইরাল হয়। তার পরেই আলোচনায় উঠে আসে ‘পকড়ুয়া বিয়া’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy