Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Delhi Government

‘পলাতক’ বদলি হওয়া আমলা! ফোনেও অমিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কৈফিয়ত তলব করল দিল্লি সরকার

দিল্লি সরকার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল আশিসের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর নাকি সন্ধানই পাওয়া যায়নি। তাঁর ফোনও ‘সুইচড অফ’ রয়েছে।

Absconding, phone switched off, Delhi govt’s show cause notice to IAS officer Ashish More

পলাতক’ বদলি হওয়া দিল্লির আমলা! পদক্ষেপ করল কেজরীওয়াল সরকার। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ২০:১২
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি সরকারের ক্ষমতা এবং এক্তিয়ার সম্পর্কিত রায় ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি প্রশাসনের এক শীর্ষ আমলাকে বদলি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। শুধু তা-ই নয়, সরকারের কাজে যে সব আমলা বাধা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আপ প্রধান। অথচ বদলি হওয়া ওই আমলা, দিল্লির কর্মচারী বিভাগের সচিব আশিস মোরে সে দিনের পর থেকেই বেপাত্তা।

দিল্লি সরকার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল আশিসের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর নাকি সন্ধানই পাওয়া যায়নি। তার ফোনও ‘সুইচড অফ’ রয়েছে। আশিসের ‘অসহযোগিতা’র কারণে প্রশাসনিক কাজ আটকে রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে কেজরীওয়াল প্রশাসনের তরফে। দিল্লির কর্মিবর্গ দফতরের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই আমলার কৈফিয়ত তলব করে চিঠি দিয়েছেন। গত শুক্রবারই দিল্লির আপ সরকার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করে জানায়, ওই আমলার বদলি কার্যকর করতে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, এই বিষয়ে বক্তব্য শোনার জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে।

দিল্লিতে ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে, কেন্দ্র না আপ সরকারের হাতে, বৃহস্পতিবার এই বিবাদের নিষ্পত্তি ঘটে সর্বোচ্চ আদালতে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানায়। আদালতের তরফে জানানো হয়, ‘জনগণের ইচ্ছা’কে বাস্তবায়িত করার জন্যই নির্বাচিত করা হয় একটা সরকারকে। তাই প্রশাসনিক সমস্ত কাজেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পক্ষান্তরে সরকারের নির্দেশ মেনে চলবেন উপরাজ্যপাল। প্রধান বিচারপতি রায়টি পড়ে শোনানোর সময় বলেন, “যদি আধিকারিকেরা মন্ত্রীদের কাছে তাঁদের কাজের ব্যাখ্যা না দেন, তবে তো যৌথ দায়িত্বের যে নীতি, তা-ই লঙ্ঘিত হবে।” তবে প্রয়োজনে উপরাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভাকে পরামর্শ দিতে পারেন বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

দিল্লি যে অন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তুলনায় আলাদা, সে কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আধিকারিক বদল সংক্রান্ত যাবতীয় ক্ষমতা থাকবে দিল্লি সরকারের হাতেই। ক্ষমতার রাশ নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে, না কি উপরাজ্যপালের মাধ্যমে শেষ কথা বলবে কেন্দ্র, তা নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। অন্য রাজ্য সরকারগুলি সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পেলেও, দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় এই নিয়ম প্রযোজ্য হয় না। সাম্প্রতিক কালে দিল্লির আপ সরকারের সঙ্গে উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার একাধিক বিষয়ে মতান্তর হয়েছে। উপরাজ্যপালের মাধ্যমে সরকারের কাজে নাক গলানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। গত ১৮ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রায়দান স্থগিত রেখেছিল। সে সময় প্রায় সাড়ে ৪ দিন ধরে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE