ইদ মিটলে অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আনিসের মৃত্যুর বিচার চাইতে পারেন তিনি। ফাইল চিত্র
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময় উল্কার গতিতে বাংলার রাজনীতিতে আবির্ভাব হয়েছিল আব্বাস সিদ্দিকীর। কিন্তু ভোট পর্বে সংযুক্ত মোর্চার ভরাডুবির পর রাজ্য রাজনীতি থেকে এক রকম অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদা। কিন্তু আবার তাঁকে স্বমহিমায় ফিরতে দেখা যেতে পারে ইদের পরে। সূত্রের খবর, রমজান মাস পেরিয়ে গেলে আগামী মে মাসে কলকাতায় বড় অরাজনৈতিক সমাবেশ করতে পারেন আব্বাস। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র রমজান মাস চলছে। সেই মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাসে থাকতে হয় তাঁদের। এই ধর্মীয় আচরণের কথা মাথায় রেখে আব্বাস নিজের কর্মসূচি ইদের পরে রেখেছেন বলে সূত্রের খবর। ইদ মিটলে অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আনিসের মৃত্যুর বিচার চাইতে পারেন তিনি।
সম্প্রতি আনিসের বাবা সালেম খানের ডাকে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন আব্বাস। সেখানেই আনিসের বাবাকে সব রকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই দিনই কলকাতায় নিজের সমাবেশের কথা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদা। প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস ছিলেন আব্বাসের দল আইএসএফএ-এর সদস্য। তাই তাঁর জন্য আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট জোরালভাবে ময়দানে নেমেছে। আনিস-মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন আইএসএফ বিধায়ক তথা আব্বাসের ভাই নওশাদ সিদ্দিকীও। কিন্তু, বর্তমানে তদন্ত করছে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট। তাতে সন্তুষ্ট নয় আনিসের পরিবার আর আইএসএফ-ও। তাঁদের দাবি, খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ ‘অভিযুক্ত’। তাই পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা নেই তাঁদের। যে কারণে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
তাই এ বার রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করতে চান আব্বাস, এমনটাই মনে করছেন আব্বাস-ঘনিষ্ঠরা। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আব্বাসের দল যে ভাবে দোষীদের শাস্তির দাবিতে লড়াই করছে, সেই লড়াই চালিয়ে যাবে আইএসএফ। অন্য দিকে, অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেও সুর চড়িয়ে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই ইদের পর কলকাতায় যে সমাবেশ আব্বাস করবেন, সেখানে থাকবে না তাঁর দল আইএসএফ-এর কোনও পতাকা। এমনকি আব্বাসের ওই মঞ্চে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো না-ও হতে পারে। বরং ওই দিনের সভায় হাজির করানো হতে পারে আনিসের পরিবারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy