— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বরোদার পর এ বার মুম্বই। আবারও লোকালয় থেকে উদ্ধার কুমির। মুম্বইয়ের মুলুন্দ এলাকায় একটি হাউসিং সোসাইটির ভিতরে প্রবেশ করেছিল একটি কুমির। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সেটি লম্বায় ছিল প্রায় ৯ ফুট। সকালে সেটিকে দেখেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাবাসীদের মনে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন বন দফতরে। বন্যপ্রাণীদের নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, রবিবার সকালেই কুমিরটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মুলুন্দ এলাকা থেকে রবিবার সকালে ফোন গিয়েছিল বন দফতরের কন্ট্রোল রুমে। জানানো হয়েছিল, ওই হাউসিং সোসাইটির ভিতরে একটি বড়সড় কুমির ঘুরতে দেখা গিয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছিল বন্যপ্রাণী উদ্ধারের ওই স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকেও। শেষে ওই স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং বনকর্মীদের উদ্যোগে কুমিরকে উদ্ধার করা হয়।
ওই স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের তরফে পওয়ার শর্মা জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৬টা নাগাদ একটি স্ত্রী কুমিরকে উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জন পশু চিকিৎসক কুমিরটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কুমিরটিকে সুস্থ রয়েছে। ফলে সেটিকে লোকালয় থেকে দূরে তার স্বাভাবিক আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কর্তা।
উল্লেখ্য, এর আগে জুলাই মাসেই মুম্বইয়ের মিথি নদীতে কুমির দেখা গিয়েছিল। তা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছিল। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল ওই নদী কুমিরের স্বাভাবিক বাসস্থল। নদীতে নামা বা কুমিরকে বিরক্ত করা থেকে সাধারণ মানুষকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছিল প্রশাসন। ওই মাসেই মুম্বইয়ের চিপলুনে ভারী বৃষ্টির পর রাস্তার উপরেই ঘুরতে দেখা গিয়েছিল বড়সড় একটি কুমির।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই গুজরাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্বামিত্রী নদীর জল প্রবেশ করেছিল বরোদা শহরে। তার সঙ্গে প্রবেশ করেছিল প্রচুর কুমির। জলমগ্ন বরোদা শহর থেকে দু’দিনে উদ্ধার হয়েছিল অন্তত ২৪টি কুমির। পরে সেগুলিকে আবার বিশ্বামিত্রী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy