— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রকাশ্য রাস্তায় কাগজকুড়ানিকে ধর্ষণ করছিলেন এক যুবক। পথচারীরা দেখলেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। বরং ঘটনার ভিডিয়ো করছিলেন অনেকেই। পরে তাঁদেরই মধ্যে এক জন সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ বার সেই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
শনিবার উজ্জয়িনী পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ সালিম। তিনি নাগড়া শহরের বাসিন্দা। এর আগে একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে তাঁর নামে। সালিম ছাড়াও আরও বেশ কিছু পথচলতি মানুষ দাঁড়িয়ে ওই ঘটনার ভিডিয়ো করেছিলেন। কিন্তু নির্যাতিতাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি কেউই। তাঁদেরকেও চিহ্নিত করে কড়া পদক্ষেপ করার চেষ্টা করা হবে।
বুধবার বিকালে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর কয়লা ফটক এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় কাগজকুড়ানি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যান অভিযুক্ত। মাদক খাইয়ে রাস্তার পাশেই একটি বিশ্রামস্থলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো করতে শুরু করেন পথচলতি মানুষ। পরে তা ছড়িয়েও দেওয়া হয়। ওই ভিডিয়োর ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার গ্রেফতার হলেন ভিডিয়োগ্রাহক।
তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে দোষারোপ- পাল্টা দোষারোপের খেলা। রাজ্যের বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছে কংগ্রেস। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকেও আঙুল তুলেছেন বিরোধী নেতারা। তবে ঘটনার পরে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। মোহন সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশে আইনের শাসন রয়েছে। যারা অপরাধ করবে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউই রেহাই পাবে না। উজ্জয়িনী হোক, কিংবা সমস্ত রাজ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা সকলেই সুশাসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy