Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Draupadi Murmu

Draupadi Murmu: পড়ুয়াদের জন্মদিনে আনতেন চকোলেট! ওড়িশা মেতে রাষ্ট্রপতি দৌড়ের সেই ‘দিদিমণি’কে নিয়ে

১৯৯৪-’৯৭ পর্যন্ত ওড়িশার রাইরংপুরের শ্রীঅরবিন্দ স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই সকলের প্রিয় ‘দিদিমণি’ হয়ে উঠেছিলেন দ্রৌপদী।

এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: পিটিআই।

এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ১২:২৮
Share: Save:

ঘরের মেয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি এনডিএ-র মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। শুক্রবারই তিনি নয়াদিল্লিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। এর মধ্যেই পরবর্তী রাষ্ট্রপতির জয়ের জন্য গোটা ওড়িশা জুড়ে প্রার্থনা চলছে। দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘরের মেয়েকেই দেখতে চায় ওড়িশাবাসী। এনডিএ-বিরোধী শিবির হলেও ঘরের মেয়েকে পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।

তিনি দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার ঘরের মেয়ে। তাঁকে ঘিরেই ওড়িশাবাসীর আশা আকাশ ছুঁয়েছে। তেমনই দ্রৌপদীকে নিয়ে আশাবাদী তাঁর এক সময়ের সহকর্মী দিলীপ গিরি।

শ্রীঅরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন দ্রৌপদী। সাল ১৯৯২। সেই সময় ওই স্কুলেরই কেয়ারটেকার ছিলেন দিলীপ। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মনোনীত হয়েছেন শোনার পরই পুরনো দিনের স্মৃতিতে বিভোর হয়ে যান দিলীপ। দ্রৌপদী কত ভাল মানুষ, কী ভাবে স্কুলের সকলের সঙ্গে মিশতেন— সব উঠে এসেছে দিলীপের কথায়।

১৯৯৪-’৯৭ পর্যন্ত ওড়িশার রাইরংপুরের শ্রী অরবিন্দ স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই সকলের প্রিয় ‘দিদিমণি’, সকলের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন দ্রৌপদী। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বলেন, “১৯৯২ সাল থেকে রাইরংপুরের ওই স্কুলে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করেছি। দিদি যখন স্কুলের শিক্ষক হয়ে এসেছিলেন, তার কয়েক দিনের মধ্যেই সকলের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর কাছে কে শিক্ষক, কে অশিক্ষক কর্মী, কোনও ভেদাভেদ ছিল না। সকলকেই সমান চোখে দেখতেন।”

দিলীপ জানান, শুধু শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মী নয়, স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গেও এমন ভাবে মিশে যেতেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর কথায়, “দিদিমণির মেয়েও ওই স্কুলেই পড়ত। অন্য পড়ুয়াদের যে চোখে দেখতেন, নিজের মেয়েকেও সেই চোখেই দেখতেন। মেয়েকে বাড়তি কোনও সুযোগ-সুবিধা দেননি। তাঁর চোখে সকল পড়ুয়াই ছিল নিজের সন্তানের মতো।”

দিলীপ জানান, কোনও দিন তাঁকে উপলব্ধি করতে দেননি যে, তিনি এক জন কেয়ারটেকার। দ্রৌপদীর এই আচরণই সকলের ‘কাছের মানুষ’ করে তুলেছিল। দিলীপের কথায়, “স্কুলের প্রতিটি পড়ুয়ার জন্মদিনে নিজে চকোলেট কিনে আনতেন এবং সেগুলি সকলের মধ্যে ভাগ করে দিতেন। এমনকি আমার জন্মদিনও পালন করেছেন দিদিমণি। আমাকে চকোলেটও দিয়েছিলেন।”

১৯৯৭ সালে প্রথম নির্বাচনে লড়েন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এবং জিতেওছিলেন। রাজনীতিতে সেই প্রথম আত্মপ্রকাশ। শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখলেন সকলের প্রিয় ‘দিদিমণি’! তার পর একের পর এক সাফল্য এসেছে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে। কিন্তু সেই মানুষটি যেমন ‘মাটির’ ছিলেন, তেমনই আছেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ। তাই রাইরংপুরের সকলের প্রিয় ‘দিদিমণি’র নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতেই সকলে আশায় বুক বাঁধছেন, এ বারও সফল হবেন দ্রৌপদী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy