মণিপুরের রাস্তায় ‘এরিয়া ডমিনেশন’-এর কাজ করছেন সেনা জওয়ানরা। ছবি: রয়টার্স।
হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে অশান্তি থামার লক্ষণ নেই। গভীর রাতে গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাল জঙ্গিরা। মৃত্যু হয়েছে মহিলা-সহ ৯ জনের। আহত অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গল এবং বুধবারের মধ্যবর্তী রাতে হামলার ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গিরা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। তাতেই মৃত্যু হয় মহিলা-সহ ৯ জনের। আহত হন বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, পূর্ব ইম্ফল এবং কাংপোকি জেলার সীমানায় অবস্থান করা খামেলোক এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহতদের ইম্ফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে একই এলাকায় গ্রামবাসী এবং জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তাতে ৯ জন আহত হয়েছিলেন। তবে কারও প্রাণ যায়নি। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, সেই জায়গায় শুরু হয়ে গেল গোলমাল। প্রাণ গেল অন্তত ৯ জনের। মঙ্গলবারও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, মেইতেই অধ্যুষিত এলাকার ধারেকাছেই বাঙ্কার তৈরির পরিকল্পনা ছিল কুকি জঙ্গিদের। তা করতে গিয়েই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে জঙ্গিরা।
পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে জেলা প্রশাসন কার্ফু শিথিল করার সময়কাল কমিয়ে দিয়েছে। গোলমাল কমায় ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়েছিল পূর্ব ইম্ফল এবং পশ্চিম ইম্ফলে। কিন্তু এখন শিথিল করার সময়সীমা কমিয়ে করা হয়েছে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত।
জাতিগত হিংসায় জ্বলছে উত্তর-পূর্বের মণিপুর। সেই রাজ্যের বাসিন্দা কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। ভাঙচুর করা হয়েছে ধর্মীয় স্থান, স্কুলবাড়ি, সরকারি অফিসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্ফু জারির পাশাপাশি নামানো হয় সেনাকে। চার দিন মণিপুরে পড়ে থেকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু কিছুতেই মণিপুরের আগুন নিভছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy