Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ইন্দিরা আবাসের টাকা নয়ছয় বরাকে

ইন্দিরা আবাস নির্মাণের জন্য বরাদ্দ অর্থের ৬০ লক্ষ টাকার হদিস মিলছে না। ঘটনার তদন্তে নেমে ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হাইলাকান্দি ব্লক থেকে এ সংক্রান্ত ৩৮ টি ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইলাকান্দি ব্লকের ২০১১-১২ আর ১২-১৩ আর্থিক বর্ষে এই প্রকল্পে ৯১৬ টি আবাস র্নিমাণের জন্য গ্রামোন্নয়ন বিভাগ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩১
Share: Save:

ইন্দিরা আবাস নির্মাণের জন্য বরাদ্দ অর্থের ৬০ লক্ষ টাকার হদিস মিলছে না। ঘটনার তদন্তে নেমে ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হাইলাকান্দি ব্লক থেকে এ সংক্রান্ত ৩৮ টি ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইলাকান্দি ব্লকের ২০১১-১২ আর ১২-১৩ আর্থিক বর্ষে এই প্রকল্পে ৯১৬ টি আবাস র্নিমাণের জন্য গ্রামোন্নয়ন বিভাগ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছিল। প্রতিটি আবাসের জন্য ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্ত অধিকাংশ আবাসই তৈরি হয়নি। অথচ বরাদ্দ অর্থেরও হদিস নেই। সংশ্লিষ্ট বিডিও মইনুল হক চৌধুরী এই আর্থিক গরমিলের বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে আনেন। জেলাশাসক বরুণ ভুঁইয়া ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক পি বি রায়। এই তদন্ত কমিটির তরফে এক ম্যাজিস্ট্রেট গত সোমবার সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে তদন্ত করতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান। তিনি দেখেন, ইন্দিরা আবাস যোজনার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে ভুয়ো ফটো দাখিল করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ আবাস-গৃহ তৈরিই হয়নি। বরাদ্দ অর্থের সঙ্গে ব্যাঙ্কে থাকা অর্থেরও গরমিল প্রচুর। ৬০ লক্ষ টাকার কোনও হদিশই মিলছে না।

হাইলাকান্দির সার্কল অফিসারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘‘বড় মাপের কেলেঙ্কারি যে হয়েছে তা সাদা চোখেই স্পষ্ট।’’ এই কেলেঙ্কারির জন্য তিনি ব্লকের হিসেবরক্ষক জালালউদ্দিন লস্করকে দায়ী করেছেন। দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানান। ব্লক অফিস থেকে তিনি প্রায় ৩৮ টি ফাইল আটক করে নিয়ে আসেন। এ দিকে, লস্কর দাবি করেছেন, ‘‘ এই ঘটনায় আমি দোষী নই। আর গ্রেফতারের ভয়ও আমি করি না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE