স্কুলে পড়ছে মেয়েরা। নিজস্ব চিত্র।
২০১৫ সালে মহা ধুমধাম করে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকে সংবাদপত্র-সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে এই প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দিয়েছে মোদী সরকার। চার বছর পর ওই প্রকল্পের খরচ সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, প্রকল্প রূপায়ণের খাতে যত খরচা হয়েছে, তার দ্বিগুণেরও বেশি ব্যয় করা হয়েছে প্রকল্প সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনে।
সম্প্রতি সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ সম্পর্কিত খরচের হিসাব দিয়েছেন শিশু ও নারীকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার। তিনি জানিয়েছেন, প্রকল্প শুরুর পর থেকে গত কয়েক বছরে মোট ৬৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তারমধ্যে বিজ্ঞাপনের জন্যই খরচ হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট বরাদ্দের ৫৬.২৭ শতাংশ খরচ করা হয়েছে বিজ্ঞাপন খাতে।
‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য রাজ্যগুলিতে প্রকল্পের টাকা ভাগ করে দেওয়ার কথা। সেই খাতে বিগত বছরগুলিতে খরচ হয়েছে বরাদ্দ অর্থের এক চতুর্থাংশ! মোট বরাদ্দ অর্থের ২৪.৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে কাজ করার জন্য।
আরও পড়ুন: ঘরে ঘরে আসছে মোদীর ‘চিঠি’! ১৫ কোটি খরচে নির্বাচনী ‘গিমিক’, তোপ বিরোধীদের
শুধু তাই নয়, সংসদে পেশ হওয়া তথ্য অনুসারে বিজ্ঞাপন খাতে খরচ দিনে দিনে বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করা হয়েছিল ১৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বিজ্ঞাপনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৫৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
ভারতবর্ষে লিঙ্গবৈষম্য এক বড় সমস্যা। সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে ও কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রকল্প প্রচারের ঢক্কানিনাদ ছাড়া কাজের কাজ যে খুব বেশি হয়নি তা উঠে এল সংসদে পেশ হওয়া তথ্যেই।
আরও পড়ুন: সিএ পরীক্ষায় প্রথম হলেন দর্জির ছেলে
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy