ধওলা কুয়াঁ গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ হল। আজ দিল্লির একটি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বীরেন্দ্র ভট্ট সাজা ঘোষণা করেছেন।
চার বছর আগে ধওলা কুয়াঁয় এক জন কলসেন্টার কর্মীকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করে শামশাদ ওরফে খুটকন, উসমান ওরফে কালে, শাহিদ ওরফে ছোটা বিল্লি, ইকবাল ওরফে বড়া বিল্লি এবং কামরুদ্দিন ওরফে মোবাইল। গত মাসের ১৪ তারিখে এদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। গণধর্ষণ ছাড়াও একাধিক অপরাধমূলক কাজে অপরাধী প্রমাণিত হয়েছে তারা। তাই যাবজ্জীবন ছাড়াও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাবাসের সাজা দিয়েছে আদালত। প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও ঘোষণা করা হয়েছে।
এ দিন ভিড়ে ঠাসা আদালতে রায় শোনার পরেই অজ্ঞান হয়ে যায় শাহিদ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অন্য অপরাধীদের আত্মীয়েরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করবেন তাঁরা।
২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর দিল্লির মঙ্গলপুরী এলাকায় গণধর্ষিত হন বছর তিরিশের এক মহিলা। ধওলা কুয়াঁয় একটি কলসেন্টারে কাজ করতেন তিনি। ঘটনার দিন রাতের শিফটে কাজ সেরে অফিসেরই গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময় অপহৃত হন তিনি। চলন্ত গাড়িতে তাঁকে টানা তিরিশ মিনিট ধরে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালায় অপরাধীরা। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
প্রথমে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করলেও পরে অপরাধ কবুল করে নেয় অভিযুক্তেরা। এমনকী পুলিশের কাছে অনুতাপও প্রকাশ করে অন্যতম অভিযুক্ত কামরুদ্দিন।
ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। রাজধানী ও তার আশপাশের কলসেন্টারে কর্মরত মহিলাকর্মীদের নিরাপত্তা বাড়াতে পদক্ষেপও করেছিল দিল্লি সরকার। কলসেন্টারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, রাতের শিফট শেষে মহিলাকর্মীকে বাড়ি পৌঁছনোর সময় গাড়িতে এক জন করে সশস্ত্র রক্ষী রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy