নেফিয়ু রিও
গদি ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে আরও খানিকটা এগোলেন নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ নেফিয়ু রিও। অন্য দিকে, রাতারাতি শিবির বদলালেন নাগাল্যান্ডের বিধায়করাও। বৃহস্পতিবার রাতে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স অব নাগাল্যান্ড (ড্যান) জোটের যে ৪২ জন বিধায়ক প্রদেশ সভাপতি সুরহোজেলি লিঝিৎসুকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চেয়ে জোট বেঁধেছিলেন, গত কাল রাতে কাজিরাঙার রিসর্টে তাঁদেরই অন্তত ৪০ জনকে নিজের দিকে টেনে আনেন রিও। কিন্তু আজ রাতে সুরহোজেলি দাবি করেন, ‘‘তুরুপের তাস এখনও আমাদের হাতে।’’ তাই এখনও স্পষ্ট নয়, কে, কখন রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
ড্যান জোটের প্রধান শরিক এনপিএফের বিধায়ক সংখ্যা ৪৯। ২০১৪ সালে ও ২০১৫ সালে দু’বার দলে বিদ্রোহ হয়। শেষ পর্যন্ত সরতে বাধ্য হন নেফিয়ু রিও। ৪২ জন বিধায়কের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হন জেলিয়াং। জোট চেয়ারম্যান হন সুরহোজেলি। তখন থেকেই তাঁরা রিওর বিপরীত শিবিরে রয়েছেন।
সাংসদ হয়েও কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে না পারা রিও বিজেপির সাহায্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তাঁকে ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইমকং ইমচেনকে গত বছরই দল-বিরোধী কাজের জন্য সাসপেন্ড করেছেন সুরহোজেলি। জেলিয়াং শিবিরের সন্দেহ ছিল, নাগাল্যান্ডে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে যে বন্ধ, অবরোধ তার পিছনে রিওর মদত রয়েছে। আসলে রিওকে সামনে রেখে পুরো ক্ষমতা পেতে চাইছে বিজেপি। রিওকে ঠেকাতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যসভার সাংসদ কে জি কেনিয়ে বৈঠক ডাকেন। ৪২ জন বিধায়কের সম্মতিতে ঠিক হয়, জেলিয়াংয়ের স্থানে সুরহোজেলি মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
রাজ্যপাল পি বি আচার্য ও জেলিয়াং দিল্লি যান। গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাদা আলাদা করে দেখা করেন তাঁরা। জেলিয়াং জানান, রাজ্যে অশান্তি তৈরি করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা চলছে। রাজভবনে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের স্বাক্ষর-সহ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিপত্র জমা দিয়ে এসেছিলেন সুরহোজেলি গোষ্ঠী। ঠিক ছিল শনিবার কোহিমা ফিরে সুরহোজেলিকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য ডাকবেন আচার্য।
কিন্তু তার আগেই অন্য চাল চালেন রিও। উত্তর-পূর্ব উন্নয়নমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ, বিজেপি নেতা রাম মাধবদের সঙ্গে গত কাল বিকেলে জরুরি
বৈঠকে বসেন তিনি। এর পর দিল্লিতে বসেই ৩০ জন এনপিএফ বিধায়ক-সহ ৪০ জন বিধায়ককে কাজিরাঙার একটি রিসর্টে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন রিও। জানা গিয়েছে, ‘দর কষাকষি’র পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক এখন তাঁরই পক্ষে। কিন্তু তিনি এখন এনপিএফ থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেতা। তাই সদলবলে তাঁর ও তাঁর অনুগামীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy