লরির ভেতরে গোপন কুঠুরি তৈরি করে শিলিগুড়িতে পাচার করা হত গাঁজা। বৃহস্পতিবার শিলঙের কাস্টমস বিভাগ অভিযান চালিয়ে করিমগঞ্জের পাথারকান্দিতে আটক করে ত্রিপুরার একটি লরি। লরিটির বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কয়েকটি গোপন কুঠুরি। সেই কুঠুরির ভিতরেই রাখা ছিল ৪৭ প্যাকেট গাঁজা। এক একটি প্যাকেটের ওজন পাঁচ কিলোগ্রাম বা তার বেশি। সেই গাঁজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে কাস্টমস সূত্রে জানানো হয়েছে।
করিমগঞ্জের জাতীয় সড়ক নেশা জাতীয় সামগ্রী পাচারের ট্র্যানজিট রুট হিসেবে ব্যাবহার হয় দীর্ঘদিন। কাস্টমস, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই), পুলিশ, বিএসএফ বিভিন্ন সময়ে প্রচুর মাদক-সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। করিমগঞ্জের ভাঙ্গা এলাকায় ডিম ভর্তি লরি থেকে ৪৩ কোটি টাকার মাদক ট্যাবলেট আটক করা হয়েছিল। করিমগঞ্জে হাজার হাজার বোতল মাদক তথা কফ সিরাপ আটক হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে ফাঁকা এরকমই এক লরি থেকে আজ প্রায় আড়াইশো কিলোগ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমসের প্রিভেন্টিভ শাখা।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তারা জানান, করিমগঞ্জের পাথারকান্দিতে টিআর-০১-১৫২৫ নম্বরের যে লরিটি আটক করা হয়, তার মেঝের অর্ধেক অংশে এবং চালক বসার জায়গার উপরের অংশে নিপুণ ভাবে তৈরি করা রয়েছে বেশ কয়েকটি কুঠুরি। আর তার ভিতরেই লুকিয়ে রাখা ছিল গাঁজার প্যাকেটগুলি। লরি চালক স্বপন রুদ্রপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, ওই গাঁজা আগরতলা থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেঘালয়ের লুমসুলুমে গিয়ে লরিতে সিমেন্ট তোলার কথা ছিল। সিমেন্ট গাড়িতে তুলে নিলে হয়তো গাঁজা উদ্ধার করা সম্ভব হত না। কিন্তু আগরতলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসা লরিচালকের সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যায় পাথারকান্দিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy