বিরোধের আঁচ পেলেই সংসদ এড়িয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় চলতি সপ্তাহের ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণের কৌশল স্থির করতে আগামিকাল বৈঠকে বসছেন রাহুল গাঁধী।
সোমবার সকালে দশ জনপথে সনিয়া গাঁধীর বাসভবনে কংগ্রেসের ‘স্ট্র্যাটেজি’ গোষ্ঠীর বৈঠক। আর সন্ধ্যায় বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা জানান, সংসদের কৌশল থেকে ডেপুটি চেয়ারম্যান— সব নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। তথ্যের অধিকার আইনে কিছু বদল আনতে চাইছে মোদী সরকার। তা নিয়েও কথা হবে এই বৈঠকে। লক্ষ্য একটিই, লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে মোদী-বিরোধিতাকে আরও তীব্র করা।
এরই মধ্যে চন্দ্রবাবু নায়ডু সব অ-কংগ্রেসি ও অ-বিজেপি দলের কাছে অন্ধ্রের দাবিতে সমর্থন চেয়েছেন। তেলুগু দেশম অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথাও জানিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে, আসলে অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিজেপিকেই সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে গত বারের মতো এ বারেও হট্টগোলে পণ্ড হয় সংসদ। আজ অন্ধ্রের দাবি নিয়ে তেলুগু দেশম নেতৃত্বের উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলেও শিবসেনা তা প্রত্যাখ্যান করে।
আনন্দ শর্মার মতো নেতারা মনে করেন, ভোট যখন আসছেই, তখন আর অনাস্থা প্রস্তাব এনে কী লাভ? যদিও আগামিকালের বৈঠকেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ডেপুটি চেয়ারম্যান ভোট নিয়েও মোদী সরকার গড়িমসি করছে। কংগ্রেস বিরোধীদের সঙ্গে এই নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে মোদীর উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে। এই পদের জন্য কংগ্রেস নিজেদের দাবি ছেড়ে শরিক এনসিপিকে পদটি ছাড়তে রাজি। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিরোধী দলের বৈঠকেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy