মহালয়ার মহামিছিলের দৃশ্য। ছবি: সারমিন বেগম।
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেন, “আমরা গণশত্রু নই। আমরা কর্মবিরতি তুলতে চাই। এখনই তুলতে চাই। কিন্তু দাবিগুলি না মানা হলে কোন ভরসায় তুলব?”
নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে একেবারে শুরু থেকেই পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশকে। বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচিতে ছিলেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাধিক সংগঠনের মিলিত মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অব ডক্টরস্’-এর প্রতিনিধি পুন্যব্রত গুণও। তাঁর অনুরোধ যাতে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে আন্দোলনের কর্মসূচি স্থির করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তিনি বলেন, “কর্মবিরতি ছাড়াও অন্য কর্মসূচি হতে পারে। অবস্থান, অনশন হতে পারে কিংবা জুনিয়র ডাক্তার-সিনিয়র ডাক্তার উভয়েরই কর্মবিরতি হতে পারে। মানুষ যাতে আমাদের সঙ্গে থাকেন, সেটিকে দেখে আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।”
ডাক্তারদের ‘মহাসমাবেশে’ রয়েছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, উষসী চক্রবর্তীরা। রাস্তাতেই বসে পড়েছেন সকলে। চলছে সভা।
ধর্মতলায় শুরু হল মহাসমাবেশ। বক্তৃতা দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত কর।
ধর্মতলা পৌঁছল মিছিলের শেষ প্রান্ত! শুরু হয়েছে ‘মহাসমাবেশ’।
মহালয়ার ‘মহামিছিল’ পৌঁছল ধর্মতলায়। পায়ে পায়ে গন্তব্যের পথে। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে রাজপথে সাধারণ মানুষের ঢল।
মিছিল প্রায় শেষের পথে। এর পর শুরু হবে মহাসমাবেশ। তবু ভাটা পড়েনি উৎসাহে। এখনও একই রকম মানুষের ঢল।
ধর্মতলার মোড়ে পৌঁছল মিছিল। কিছু ক্ষণ পর এখানেই শুরু হবে ‘মহাসমাবেশ’।
আর কিছু ক্ষণেই মহালয়ার ‘মহামিছিল’ পৌঁছবে ধর্মতলায়। সেখানে পৌঁছে শুরু হবে ‘মহাসমাবেশ’। আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বক্তৃতা করবেন উদ্যোক্তারা।
মিছিলে হাঁটছেন অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘‘মহালয়া মানে অসুর নিধন, অশুভ শক্তির বিনাশ। সমাজে যে সব জ্যান্ত অসুর রয়েছে, যারা আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের শাস্তির দাবিতেই আজকের এই মিছিল। যত দিন না তাদের বিনাশ হচ্ছে, গ্রাম-শহর সর্বত্র উৎসব আর প্রতিবাদ হাতে হাত মিলিয়ে চলবে।’’
মিছিলে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মুখ রুমেলিকা কুমারও। বললেন, ‘‘এই যে এত সাধারণ মানুষ মিছিলে এসেছেন, পায়ে পা মিলিয়েছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সাহায্য ছাড়া এই আন্দোলন হত না।’’
মিছিল এখন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে। কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে চলছে স্লোগান।
মিছিল এই মুহূর্তে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তায় মানুষের ঢল।
জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল পায়ে পায়ে এমজি রোড পেরিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছল। পরস্পরের হাত ধরে মানববন্ধন তৈরি করে এগোচ্ছেন মানুষ।
ডাক্তারদের মহামিছিলে আজও শোনা গেল নানা চেনা স্লোগান। ফের উঠল নির্যাতিতার বিচারের দাবি। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, কিংবা ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’-এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের উদ্দেশেও ভেসে এল কটাক্ষ। প্রলম্বিত তদন্তপ্রক্রিয়ার সমালোচনা করে স্লোগান উঠল, ‘আর কত দিন সময় চাই? জবাব দাও সিবিআই!’
আবার এগোচ্ছে মিছিল। এমজি রোডে এখন মানুষের ঢল। সকলেই এসেছেন নিজস্ব পোস্টার, ব্যানার নিয়ে। কোনও কোনওটিতে আবার স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ছবি। সঙ্গে লেখা, ‘‘প্রীতিলতার এই মাটিতে ধর্ষকদের ঠাঁই নেই।’’
এমজি রোডে পৌঁছল মিছিল। সেখানে কিছু ক্ষণের অপেক্ষা। আসছেন আরও মানুষ। এখনও এসে পৌঁছননি অনেকেই। তাঁরা যোগ দিলেই ফের মিছিল এগোবে।
কলেজ স্কোয়্যার থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। কলেজ স্ট্রিট থেকে এমজি রোড, সিআর অ্যাভিনিউ হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত গিয়ে মিছিল শেষ হবে।
দুপুর ২টো নাগাদ মিছিল শুরু হল। ডাক্তারদের ডাকে সাড়া দিয়ে জড়ো হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। আট থেকে আশি— এসেছেন সকলেই।
মহালয়ায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবির পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত কলেজ-হাসপাতাল থেকে শুরু করে সমাজের সর্ব স্তরে ‘ভয়ের রাজনীতি’র প্রতিবাদে এই মিছিল। কলেজ স্কোয়্যার থেকে শুরু হচ্ছে মিছিল। জড়ো হয়েছেন বহু মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy