অলংকরন: তিয়াসা দাস
সমাজের চোখ রাঙানি এড়িয়ে বিয়ে করলেন দুই মহিলা! উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের অঞ্চলে ঘটেছে এই ঘটনাটি। একজনের বয়স ২৪, অন্যজনের ২৬। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে একে অন্যকে ভালবাসতেন তাঁরা। কিন্তু সমাজের চাপে তখন বিয়ে করতে পারেননি তাঁরা। অবশেষে সব বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এর জন্য নিজেদের স্বামীদেরকেও ডিভোর্স দিয়েছেন তাঁরা।
যদিও তাঁদের এই বিয়ে নথিবদ্ধ করতে রাজি হননি ম্যারেজ রেজিস্ট্রার। তাই একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। ওই দুই মহিলা জানিয়েছেন, ছয় বছর আগে কলেজে দেখা হওয়ার সময় থেকেই একে অন্যের প্রেমে পড়ে যান তাঁরা। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন একসঙ্গে জীবন কাটানোর। কিন্তু ওই সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যাবার পরেই দু’জনেরই বাড়ি থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁদের। তার ছ’মাস পরেই তাঁদের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বিয়েও দিয়ে দেওয়া হয় দু’জনের। কিন্তু একে অন্যকে ভুলতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতা অপরাধ নয় ঘোষণা করবার পরেও ম্যারেজ রেজিস্ট্রার এই বিয়েকে মান্যতা দিলেন না কেন? ওই দুই মহিলাদের পক্ষে আইনজীবি দয়াশঙ্কর তিওয়ারি জানিয়েছেন, সমকামি সম্পর্ক মান্যতা পেলেও সমকামি বিয়ে এখনও মান্যতা পায়নি সংবিধানে। তাই বিচারপতি আর কে পাল এই বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে চাননি।
আরও পড়ুন: এবারের কুম্ভমেলায় থাকছে বিলাসবহুল তাঁবু, ভাড়া...
কিন্তু লড়াই ছাড়ছেন না ওই দুই মহিলা। তাঁরা জানিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট ৩৭৭ ধারা বাতিল করায় আর কেউ তাঁদের একসঙ্গে থাকতে বাধা দিতে পারবে না। স্বামীদের সম্পত্তিও তাঁদের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ‘সন্তানকে যেন সারা জীবনের সঞ্চয় না দেন কোনও বাবা-মা’, আক্ষেপ প্রাক্তন রেমন্ডকর্তার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy