Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জেলে প্রাতরাশ বাইরে থেকেই

দু’দিন আগেও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ ৭৪০২ নম্বর কয়েদি। ঠিকানা আপাতত, বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলের ২৩ নম্বর ভিভিআইপি সেল। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে শনিবারই চার বছরের জেল হয়েছে এডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতার। সেই মোতাবেক রবিবার ছিল তাঁর বন্দিদশার দ্বিতীয় দিন। কী করলেন সারা দিন ‘আম্মা’? জেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকেউঠে জেল চত্বরেই হাঁটাহাঁটি করে দিন শুরু করেন জয়ললিতা।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৪
Share: Save:

দু’দিন আগেও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ ৭৪০২ নম্বর কয়েদি। ঠিকানা আপাতত, বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলের ২৩ নম্বর ভিভিআইপি সেল। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে শনিবারই চার বছরের জেল হয়েছে এডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতার। সেই মোতাবেক রবিবার ছিল তাঁর বন্দিদশার দ্বিতীয় দিন। কী করলেন সারা দিন ‘আম্মা’?

জেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকেউঠে জেল চত্বরেই হাঁটাহাঁটি করে দিন শুরু করেন জয়ললিতা। জেলেরবাইরে থেকেই সকালের জলখাবার আনানো হয়। আগে তিনটি তামিল ও দু’টি ইংরেজি সংবাদপত্র পড়েছেন বলেও খবর। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে জেলের খাবার খেতে অস্বীকার করেন তিনি। পরিবর্তে ফল খেয়ে থাকেন। যে হেতু রবিবার কয়েদিদের সঙ্গে বাইরের কারও দেখা করার নিয়ম নেই। এবং জেলের এই অনুশাসন মানতে বাধ্য এমনকী ‘হাই-প্রোফাইল’ জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রাপ্ত কয়েদি-ও। তাই এ দিন সাক্ষাৎ হল না সদ্য-প্রাক্তন ও ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর। তামিলনাড়ুর নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার আগেই সেলবন্দি জয়ললিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ফিরে আসতে হল আম্মা-জমানার অর্থমন্ত্রী পনিরসেলভামকে। জানা গিয়েছে, রবিবার জয়ললিতার সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে পথে নেমেছিলেন বেশ কিছু দলীয় সমর্থক। জেলের বাইরেই বাধা দেয় পুলিশ। আম্মার সঙ্গে না দেখা করেই ফিরে আসতে হয় দলের কিছু শীর্ষস্থানীয় নেতাকেও।

১৮ বছর ধরে চলা এই মামলায় জয়ললিতার সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন শশীকলা, নটরাজন, সুধাকরণ এবং ইল্লাভরসি। সুধাকরণকে রাখা হয়েছে কর্নাটকের প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী জি জনার্দন রেড্ডির ঠিক পাশের ভিআইপি সেলে।

অন্য দিকে, শনিবার আদালতের রায় ঘোষণার পরেই আলোড়ন পড়ে যায় বিশেষত তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে। জয়ললিতার এই পরিণতির পিছনে কর্নাটকের হাত আছে বলে সরব হয় এডিএমকে-র একাংশ। রবিবার তার প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানান, “এ সব অভিযোগের একেবারেই কোনও ভিত্তি নেই। আদালতের রায় ও বিচার প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনও হাত নেই। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে যে বিচার প্রক্রিয়া চলেছে, তা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE