এক দল সন্দেহভাজন দুষ্কৃৃতীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হলেন এক রাজনৈতিক দলের যুব নেতা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কোকরাঝাড়ের গোসাইগাঁও থানার ১নং পলাশগুরি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম সোলেমান আলি মণ্ডল (৩০)। তাঁর বাড়ি ওই গ্রামেই। তিনি এআইইউডিএফ দলের যুব মোর্চার কোকরাঝাড় জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত সপ্তাহে কোকরাঝাড় জেলার গোসাইগাঁও থানার বালাপারা গ্রামে হত্যাকান্ড শুরু হয়। গোসাইগাঁও থানার বিভিন্ন গ্রামের গ্রামবাসীর রাতে পালা করে তাঁদের গ্রামে পাহারার ব্যবস্থা করেন। ওই রাতে সোলেমন আরও চার জন বন্ধুকে নিয়ে ওই গ্রামে পাহারা দিচ্ছিলেন। বৃষ্টি নামায় তাঁরা গ্রামের আবুল হোসেন নামের এক গ্রামবাসীর ঘরে বসে তাস খেলা শুরু করেন। অভিযোগ, সেই সময় ৫-৬ জন সন্দেহভাজন দুষ্কৃতী ওই ঘরে ঢুকে তাঁদেরকে মারধর শুরু করে। বাকিরা পালাতে পারলেও ওই যুব নেতাকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে গোসাইগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরে গোটা গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার মৃতের পরিবারের লোকেরা গ্রামের চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই আবুল হুসেন, জামাত আলি, মফিজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আবদুল খালেক নামের এক জন পলাতক। কোকরাঝাড় জেলার পুলিশ সুপার সুনিল কুমার জানান, বড়োভুমির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত কোনও কারণের জন্য ওই যুব নেতাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে হচ্ছে। বড়োভূমিতে হত্যাকাণ্ড শুরু হওয়ায় পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ২ মে থেকে কোকরাঝাড় সহ বড়োভূমির চার জেলাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়। জেলায় গত কয়েকদিনে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় রোজ কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হলেও শুক্রবার কোকরাঝাড় জেলার গোসাইগাঁও মহকুমায় কার্ফু শিথিল হয়নি। কোকরাঝাড় মহকুমা এবং পর্বতঝরা মহকুমায় এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার সুনীল কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy