লোকসভা ভোটের মাত্র তিন মাস আগে রাহুল গাঁধী তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “অধীর চৌধুরী মাটির কাছাকাছি থাকা নেতা। আমি জানি, উনি লড়ে যাবেন।” কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস যখন অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে, তখন বড় প্রশ্ন হল, এ বার ভোটে উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের দুর্গ কি ধরে রাখতে পারবেন অধীর? কংগ্রেস নেতারা বলছেন, রাজ্য রাজনীতিতে আগামিকাল চ্যালেঞ্জের মুখে অধীর চৌধুরীও!
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সৌজন্যে গত কাল দশ নম্বর জনপথে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সেখানে কাল অধীরকে দেখেই সনিয়া হেসে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ওই যে বাংলার হিরো আসছেন! দেখি উনি এ বার কী করেন! অনুষ্ঠান সেরে ফেরার সময় অধীরবাবুকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি আপনি জিতবেন।
কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, প্রশ্নটা কেবল অধীর চৌধুরীর জেতা নিয়ে নয়। চ্যালেঞ্জ হল, মুর্শিদাবাদ-সহ উত্তরবঙ্গে যেখানে কংগ্রেসের বর্তমান ৬ জন সাংসদ রয়েছেন, সেখানে তিনি সেই দুর্গ ধরে রাখতে পারবেন কি না! এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আজ অধীর বলেন, “আমি জাদু জানি না। লোকসভা ভোটের আগে যখন আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সময় খুব বেশি ছিল না। তার পর এই চেষ্টাটাই করেছি যে, কংগ্রেসের উপস্থিতি যেন সর্বত্র অনুভূত হয়।” বুথফেরত সমীক্ষাগুলির বেশির ভাগই এ বারে রাজ্যে কংগ্রেসকে আগের মতো আসন দেয়নি। অধীরবাবুর অবশ্য দাবি, কংগ্রেসের আসন আগের থেকে বাড়লেও অবাক হওয়ার কারণ নেই।
তবে রাজ্য কংগ্রেস সূত্রে খবর, অধীরবাবুর সম্পর্কে দলের একাংশ ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। এমনকী, প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন। এ-ও দাবি করছেন যে, আরও ভাল প্রার্থী দেওয়া যেত। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটে আশাপ্রদ ফল না হলে কংগ্রেসের ওই নেতারা অধীরবাবুকে কোণঠাসা করতে আরও সক্রিয় হবেন, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে অধীরবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের বাইরের কাউকে তো প্রার্থী করা হয়নি। আরও আগে দায়িত্ব পেলে প্রার্থী বাছাই নিয়ে সুসংহত ভাবে আলোচনা করার সুযোগ থাকত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy