আদিশক্তি এবং পুরুষশক্তির মিলনের পূণ্য তিথি হল শিবরাত্রি। অর্থাৎ শিবরাত্রি হল দেবী পার্বতী এবং দেবাদিদেব মহাদেবের বিয়ের পূণ্য তিথি। এই তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর আরাধনা করার ফলে অজ্ঞতা এবং অন্ধকার দূর হয়, পূরণ হয় মনস্কামনা। কথায় আছে দেবাদিদেব মহাদেব খুব অল্পে তুষ্ট হন। সামান্য বেলপাতা দিলেই খুশি হন দেবাদিদেব।
আমাদের সকলের মনের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা এক নয়। অর্থ, রোগ ইত্যাদির পার্থক্যে ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা ভিন্ন ভিন্ন হয়। আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতিকার জরুরি। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিভিন্ন প্রতিকারের বিধান আছে। দেবদেবীর পুজো বা আরাধনার মাধ্যমেও প্রতিকার বা সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। মহাশিবরাত্রিতে দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর আরাধনায় শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন:
মহাশিবরাত্রিতে দেবাদিদেবের অভিষেক করার ফলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। অভিষেক কী? বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, সম্ভব না হলে দেবাদিদেবের নাম উচ্চারণের সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের মূর্তি বা বিগ্রহ বা শিবলিঙ্গকে তরল নৈবেদ্য দ্বারা স্নান করানোই হল দেবাদিদেব মহাদেবের অভিষেক করা।
বিভিন্ন উপাদানে শিবলিঙ্গকে অভিষেক করার ফলে ভিন্ন ফল প্রাপ্তি হয়:
দীর্ঘ, সুস্থ জীবনপ্রাপ্তির জন্য দুধ দিয়ে অভিষেক করুন। দুধ-অভিষেকে দীর্ঘ জীবনপ্রাপ্তি হয়।
দুঃখ এবং জটিল সমস্যা নিবারণের জন্য মধু দিয়ে অভিষেক করুন। মধু-অভিষেকে দুঃখ এবং সমস্যা নাশ হয়।
ঘি দিয়ে অভিষেকে রোগ এবং অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
পঞ্চমৃতম অভিষেকে (পাকা কলা, গুড়, মিছরি, বীজহীন খেজুর, মধু) ধনসম্পদ প্রাপ্তি হয়।
সন্তানের মঙ্গল কামনায় দই দিয়ে অভিষেক করুন। দই অভিষেকে সন্তানের মঙ্গল হয়। সন্তান সম্পর্কিত শুভফল প্রাপ্তি হয়।
দুর্ভাগ্য নিবারণের উদ্দেশে চন্দন দিয়ে অভিষেক করুন। চন্দন-অভিষেকে ভাগ্যের উন্নতি হয়।
সমস্যা অনুযায়ী অভিষেকের উপাদান বেছে নিন। এক দিন করলেই ভাল ফল পেয়ে যাবেন এটা ভাববেন না। সুফল প্রাপ্তির জন্য ভক্তিভরে নির্দিষ্ট মন্দিরে কমপক্ষে তিন মাস অভিষেক করলে সুফল প্রাপ্তি হবে।