আমরা আমাদের জীবনে অনেক তীর্থস্থানে যাই। সেখানে নদীতে অথবা সাগরে স্নান করি। তীর্থ স্থানে স্নান করার একটি বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। আমাদের শাস্ত্রে সাত রকম স্নানের কথা বলা হয়েছে যথা —
১) মন্ত্র স্নান
২) মৃত্তিকা স্নান
৩) অগ্নি স্নান
৪) বায়ব্য স্নান
৫) দিব্য স্নান
৬) বরুণ স্নান
৭) মঙ্গল স্নান
এই স্নান গুলির মধ্যে সব থেকে শক্তিশালী স্নান হচ্ছে মঙ্গল স্নান এবং এটি বহুল প্রচলিত একটি প্রথা।
মঙ্গল স্নান
মঙ্গল স্নান করে জীবনে অনেক সময়ে আমরা অনেক উপকার পেয়ে থাকি। মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা স্নান, কার্ত্তিক পূর্ণিমায় গঙ্গা স্নান ও কুম্ভ স্নান সহ বিভিন্ন মঙ্গল স্নান করলে জীবনে অনেক পূর্ণ অর্জন করা যায়। গঙ্গা জলকে পবিত্রতার প্রতীক মানা হয়। গঙ্গা জল আমাদের জন্ম থাকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজন হয়।
আমরা প্রায়শই কোনও না কোনও সমস্যার মধ্যে দিন কাটাই। কখনও ছোট সমস্যা আবার কখনও বড় তথা জটিল সমস্যা। প্রত্যেক মানুষের জীবনে বিভিন্ন গ্রহের সু-প্রভাবের পাশাপাশি কু-প্রভাবও আছে। এমন একজন মানুষও হয়তো পাওয়া যাবে না, যার জীবনে সমস্যা নেই বা নয়টি গ্রহই শুভ স্থানে আছে। এই গ্রহ দোষ সম্পূর্ণভাবে কাটানো সম্ভব নয় কিন্তু এর কু-প্রভাব অবশ্যই কিছুটা কমানো যেতে পারে। তার জন্য বিভিন্ন প্রতিকারের ব্যবস্থা আছে যেমন উপযুক্ত রুদ্রাক্ষ ধারণ, রত্ন ধারণ, মন্ত্র পাঠ, বিভিন্ন ক্রিয়া ইত্যাদি।
নবগ্রহকে শান্ত রাখার জন্য মঙ্গল স্নানের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন -
প্রথমে একটি মাটির কলস নিন, এরপর অল্প আতপ চাল, অল্প সাদা সর্ষে, পাঁচটি দুর্বা, পাঁচটি তুলসী পাতা, পাঁচটি ছোট এলাচ, অল্প লাল চন্দন, অল্প কেশর, অল্প কালো তিল, পাঁচটি লবঙ্গ, অল্প পরিমাণে হিং এবং পাঁচটি গুগুলের দানা ওই কলসের মধ্যে দিন। তারপর নবগ্রহের শান্তি কামনা করে ওই কলসের মধ্যে তিন গ্লাস গঙ্গাজল দিন। নিজের মনের বাসনা জানিয়ে কলসটিকে প্রণাম করে ঘরে রেখে দিন। এরপর কলস থেকে এক গ্লাস জল বের করে নিজের স্নানের জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নান করুন, এই ভাবে পর পর তিন দিন করার পর কলসটি সব জিনিস সমেত গঙ্গায় ফেলে দিন। এই প্রক্রিয়াটি যে কোনও ভাল তিথিতে করতে পারলে অবশ্যই সুফল পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy