আনন্দ বালাসন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরের কাজ, অফিসের ব্যস্ততা, ব্যক্তিগত সমস্যা, সম্পর্কে জটিলতা, প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া— সব মিলিয়ে প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। সব কিছু সামলে শরীরের খেয়াল রাখার সময় থাকে না। সেখানে মনের যত্ন ব্রাত্যই থাকে। মানসিক অস্থিরতা, উদ্বেগের প্রভাব পড়ে কাজে, জীবনেও। কাজে ভুল হওয়া, রুক্ষ মেজাজ, ঘুম না হওয়ার লক্ষণগুলি আসলে মানসিক অশান্তির প্রতিফলন। দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুধু শরীর নয়, যত্ন নিতে হবে মনেরও। মনের খেয়াল রাখতে বরং ভরসা রাখুন যোগাসনের উপর। তবে কোন ধরনের যোগাসন করলেই তবে মনের মেঘ কাটবে, জানেন?
সুখাসন
প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এ বার হাঁটু বেকিয়ে নিয়ে বাঁ দিকের পা ডান দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন এবং আপনার ডান দিকের পা বাঁ দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন। দু’হাতের তালু দুই হাঁটুর উপরে রাখুন। মাথা, ঘাড় ও শিরদাঁড়া যেন এক বিন্দুতে সোজা ভাবে থাকে। সোজাসুজি তাকিয়ে স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এই ভাবে ৬০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এই আসনের ফলে মন শান্ত হবে এবং উদ্বেগ দূর হবে। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর করবে এই আসনের ফলে।
আনন্দ বালাসন
হাত ও পা ছড়িয়ে মেঝেতে পিঠ ঠেকিয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাঁটু মুড়ে পেটের কাছে নিয়ে আসুন। হাত দুটো প্রসারিত করে পায়ের পাতা দুটো ধরুন। দুই হাঁটুর মধ্যে যেন বেশ খানিকটা দূরত্ব থাকে। এ ভাবে ৬০ সেকেন্ড থাকুন। শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি দূর করবে আনন্দ বালাসন।
শিশু আসন
হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে মেঝেতে বসুন। এ বার আস্তে আস্তে সারা শরীর পিছনে নিয়ে গিয়ে নিতম্ব পায়ের গোড়ালির উপর রাখুন। কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দু’টো পিছনে নিয়ে গিয়ে তালু উল্টো করে পায়ের কাছে রাখুন। মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে এই যোগাসন। দেহে রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়াকেও স্বাভাবিক রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy