বাচ্চাদেরও হতে পারে গ্লুকোমা। ছবি: সংগৃহীত
৭ থেকে ১৩ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ। পৃথিবীতে আনুমানিক ৪ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। ভারতেও গ্লুকোমা আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১০ শতাংশ রোগীর অনেক দেরিতে গ্লুকোমা ধরা পড়ে। যার ফল যথেষ্ট খারাপ হয়। গ্লুকোমা আদতে একটি চক্ষুরোগ। এই রোগের প্রভাবে অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই সঙ্গে ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকে দৃষ্টিশক্তিও।
সাধারণত বয়স্কদের গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, বাচ্চাদেরও হতে পারে গ্লুকোমা। এমনকি জন্মের সময় থেকেই গ্লুকোমা দেখা দিতে পারে। তবে তা খুবই বিরল। চিকিৎসকদের মতে, ১০ হাজার জনের মধ্যে এক জন জন্মগত ভাবে গ্লুকোমার শিকার হন। ‘জুভেনাইল গ্লুকোমা’ নামক আর এক প্রকার গ্লুকোমা শিশুর দশ বছর বয়স পর্যন্ত হতে পারে।
প্রাথমিক অবস্থায় গ্লুকোমা ধরা পড়লে এর থেকে মুক্তিলাভের একটি সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে অনেক সময়ই তা হয় না। অনেকেই গ্লুকোমার লক্ষণগুলি চোখের সাধারণ সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান। যা পরবর্তী কালে মারাত্মক বিপদ আনতে পারে।
বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে গ্লুকোমার কোনও একটি লক্ষণও দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি। কোভিডকালে বাচ্চাদের মধ্যে গ্লুকোমার সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে। অনলাইনে পড়াশুনো, মোবাইল ফোনে মগ্ন হয়ে থাকা, সবুজ মাঠে খেলাধুলো করতে না পারা— সব মিলিয়ে শিশুদের চোখের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই দুঃসময়ে।
শিশুদের মধ্যে গ্লুকোমার প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?
১. দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
২. চোখ থেকে অত্যধিক জল পড়া।
৩. আলোর দিকে তাকালে চোখে ব্যথা করা।
৪. চোখের পাতা এঁটে যাওয়া, চোখ খুলতে না পারা।
৫. দীর্ঘ দিন কোনও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে, চোখে কোনও আঘাত পেয়ে থাকলে বা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে গ্লুকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy