শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আলমারি থেকে গরম জামাগুলি বাইরে বেরোতেও শুরু করেছে। শীতকাল মানেই সব কাজে একটা আলসেমি চলে আসে। কাজের গতি যেন মন্থর হয়ে পড়ে। শরীরচর্চা তো দূর। প্রয়োজনীয় কাজ করতেও একটা আলস্য ভাব ঘিরে ধরে। আর শীতকালেই ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তার অবশ্য কিছু কারণ রয়েছে।
১) শীতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই কমে যায়। ফলে শরীরের চনমনে ভাবও কমতে থাকে। আলাদা করে শরীরচর্চা করা তো অনেক দূরের কথা, এমনিতে হাঁটাহাঁটি করতেও ভাল লাগে না। ফলে ওজনও বাড়তে থাকে।
২) শীতকালে দিন ছোট, রাত বড়। খুব কম সময়ের জন্য দিনের আলো থাকায় পরিশ্রমের ইচ্ছাও কমে যায়। কায়িক শ্রমের অভাবে ওজন বাড়তে পারে।
৩) শীতকালে মনখারাপ যেন জাঁকিয়ে বসে মনজুড়ে। দীর্ঘ দিনের কোনও অবসাদ যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই সময়। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম ‘সিজন্যাল ডিপ্রেশন’। মানসিক অবসাদ কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন:

সকালে উঠে শরীরচর্চা করা ইচ্ছা না হলে সারা দিনে এক বার অন্তত ব্যায়াম করুন। প্রতীকী ছবি।
৪) শীতকালে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি হয়। খিদে পেলেই বাইরের সুস্বাদু কোনও খাবার খেতে ইচ্ছে করে। এই মুখরোচক খাবারগুলিতে ক্যালোরির পরিমাণ এত বেশি থাকে যে ওজন বেড়ে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।
শীতকালে এই ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে দূরে থাকবেন কী করে?
১) শীতকালে যতটা সম্ভব রোদে থাকার চেষ্টা করুন। দিনের বেলা ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখবে না। রোদ ঢুকতে দিন। সূর্যের আলো মনের কোনে লুকিয়ে থাকা অবসাদ দূর করে।
২) শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠার মতো কঠিন কাজ আর হয় না বলেই অনেকে মনে করেন। সকালে উঠে শরীরচর্চা করা ইচ্ছা না হলে সারা দিনে এক বার অন্তত ব্যায়াম করুন। শারীরিক কসরতের অভ্যাস একেবারে বন্ধ করে দেবেন না।
৩) শীতকালে খাওয়াদাওয়া একটু বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। ইচ্ছে করলেই বাইরের খাবার না খাওয়াই ভাল। তেলে ভাজা বা কৃত্রিম উপায়ে সংরক্ষণ করা কোনও খাবার এড়িয়ে চলুন। খেলেও তা অল্প পরিমাণে।