কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল (হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন), এলডিএল(লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) এই চারটি মিলেই মূলত তৈরি হয় কোলেস্টেরল পরিবার।
অনেকের ধারণা চর্বি জাতীয় খাবার বা মাছ খেলে বোধহয় বাড়তে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। সব ক্ষেত্রে এ ভাবনা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হার।আবার কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। রক্তবাহকে সরু ও কঠিন করে ফেলে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। প্রতি দিনের খাদ্যাভ্যাস কোলেস্টেরলের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। গবেষণা বলছে, প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর মতে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এবং শাকসব্জি খাওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে রোজের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখাটাও প্রয়োজন। কোলেস্টেরল থাকলে অনেকেই চর্বিযুক্ত মাছ এড়িয়ে চলেন। চর্বিযুক্ত হোক বা চর্বি ছাড়া উভয় প্রকার মাছেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুব বেশি পরিমাণে থাকে না। বাড়তি সুরক্ষা নিতে মাছ খেতে না চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন।
তবে কোলেস্টেরল থাকলেও খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ। টুনা, স্যামন, বাংড়া— এ ধরনের সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা মূলত প্রদাহ বিরোধী। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে। সপ্তাহে অন্তত ২২৬ গ্রাম সামুদ্রিক মাছ শরীরের পক্ষে ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy