আটা-ময়দা না খেলে কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
লুচি, পরোটা, রুটি, পাউরুটি, বিস্কুট, পিৎজ়া, মোমো, নুডল্স কিংবা র্যাপ— যা-ই খেতে যান না কেন, ময়দা থাকবেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাতের বিকল্প হিসাবে রুটি বেছে নেন অনেকে। তবে ক্যালোরির হিসাবে যে খুব তফাত রয়েছে, তা নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এক কাপ ভাতে ক্যালোরির পরিমাণ ২০৬ এবং মাঝারি আকারের একটি আটার রুটিতে ক্যালোরির পরিমাণ ১৩৭। তা ছাড়া গমজাত খাবারে রয়েছে ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং গ্লুটেন। এই প্রতিটি উপাদান পেটের জন্য ভাল। তবে, সকলের জন্য নয়। অনেকেই বলেন, আটা বা ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয়। গ্যাস, অম্বল কিংবা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। যদি মাসখানেক খাবারের তালিকা থেকে আটা বা ময়দাজাত খাবার একেবারেই বাদ দেওয়া যায়, তা হলে আদৌ কোনও উপকার হবে কি?
গমজাত খাবারে রয়েছে গ্লুটেন। এই গ্লুটেন হল এক ধরনের প্রোটিন। যা সকলের পেটের পক্ষে উপযুক্ত নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গ্লুটেন অনেকটা চিউইং গামের মতো। আঠালো, চটচটে এই উপাদান পরিপাক করার ক্ষমতা সকলের থাকে না। সেখান থেকেই হজম সংক্রান্ত নানা রকম সমস্যা হতে শুরু করে।
মাসখানেক ময়দাজাত খাবার না খেলে শরীরে কী কী পরিবর্তন নজরে পড়বে?
এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ‘নো গ্লুটেন’ ডায়েট মেনে খাবার খান। গমজাত কোনও ধরনের খাবার মাসখানেক না খেলে গ্লুটেন-সেনসিটিভিটি কমে। ডায়াবেটিকরা যদি টানা এক মাস গমজাত খাবার না খান, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের বুঝতে পারবেন। প্রদাহজনিত ব্যথা-বেদনাও নিয়ন্ত্রণে থাকে হোলগ্রেন আটা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে। আবার, ময়দা খাওয়া ছেড়ে দিলে অনেকেরই উদ্বেগজনিত সমস্যা বেড়ে যায়। ফাইবারের অভাবে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। তাই কোনও খাবারই পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে নন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কার পক্ষে গমজাত খাবার ভাল বা কার পক্ষে নয়, কে কতটুকু গমজাত খাবার খাবেন, তা পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে স্থির করাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy