উৎসবের আবহে কোলেস্টেরল কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব এক বা দু’দিনের কিন্তু। তবে তার জের চলতে থাকে আগে এবং পরেও। কালীপুজো, দীপাবলি মিটলেই রয়েছে ভাইফোঁটা। উৎসবের আবহে মিষ্টি, ভাজাভুজি, মুখোরোচক নানা পদ খাওয়াই হয়। তা যদি পরিমিত বা একদিনের জন্য হয়, তাতে হয়তো বিশেষ ক্ষতি হয় না। কিন্তু যদি সেই অনিয়ম পর পর কয়েক দিন হয়, তা হলে শরীর তা জানান দিতে পারে।
যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাঁদের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। হৃদ্রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে বাড়তি কোলেস্টেরল। মূলত অনিয়মের হাত ধরেই বাড়তি কোলেস্টেরল শরীরে বাসা বাঁধে।
তবে একটু ছাড় থাকে উৎসবেও। আনন্দের অংশীদার হয়েও কী ভাবে চললে উৎসবে স্বাস্থ্য বজায় থাকবে?
১. নানা রকম খাবারের মধ্যে রাখুন বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। যে সমস্ত খাবারে গ্লাইসেমিক্স ইনডেক্স কম সেগুলি রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খাবার পাতে রাখুন বিভিন্ন শাকসব্জি, ডাল।
২. সারা দিনে যে সমস্ত খাবার খাবেন তাতে যেন ফাইবার থাকে। সকালেই যদি ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যায় পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভরা থাকবে। শরীর ভাল থাকবে। এতে উৎসবে মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে। স্যামন, ম্যাকরেল, টুনা, সার্ডিনের মতো মাছ, অর্থাৎ যাতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে সে সবও রাখুন খাদ্যতালিকায়।
৩. খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রো-বায়োটিক রয়েছে এমন খাবার। শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে অন্ত্রে থাকা ব্যাক্টেরিয়া। যে ব্যাক্টেরিয়া খাবার হজমে, শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে তাদের উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার তালিকায় ফেলা হয়। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টক দই, আচার, দোসা, ইডলি-সহ যে কোনও গ্যাঁজানো খাবার রাখতে পারেন এই তালিকায়।
৪. উৎসবের মরসুমে ভাজাভুজি, মুখরোচক নানা পদ খাওয়া হয়। কম তেলে সেগুলি রান্না করতে পারেন, এয়ার ফ্রায়ারেও তা করে নিতে পারেন। চিকেন টিক্কা থেকে তন্দুরি সব কিছুই কম তেলে করা যায়। তালিকায় রাখতে পারেন বেকড পনির টিক্কা-সহ নানা রকম পদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy