— প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্য অনুসারে, ফুসফুসের ক্যানসারের পরেই পুরুষরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন প্রস্টেট ক্যানসারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যানসার ধরা পড়ে না। আমেরিকার ক্যানসার সোসাইটি-র দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ৮ জন পুরুষের মধ্যে এক জনের প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চিকিৎসকদের মতে, যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে বয়স ৫০ পেরোলে পুরুষদের শরীরে এই অসুখের আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়।
মূত্রথলির নীচের দিকে এই গ্রন্থির অবস্থান। দেখতে অনেকটা আখরোটের মতো। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই গ্রন্থিটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আকারে বেড়ে যেতে পারে। তখন বার বার মূত্রত্যাগের বেগ আসে। তবে বেগ যতটা, সেই অনুযায়ী প্রস্রাব হয় না। মূলত এটিই অসুখের প্রাথমিক উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে, নিশ্চিত করতে গেলে ‘পিএসএ টেস্ট’ বা ‘প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করাতে হয়। পুরুষদের রক্তে সাধারণত ‘পিএসএ’-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। কিন্তু ‘পিএসএ’-র মাত্রা ৪-এর বেশি হলেই সতর্ক হতে হবে। প্রস্টেট ক্যানসার হয়েছে কি না, তা একেবারে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারে ‘ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট’। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে ৯৬ শতাংশ রোগীই প্রাণে বেঁচে যান।
কী দেখলে সতর্ক হতে হবে?
মূত্রজনিত নানা রকম সমস্যা তো আছেই। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, মূত্র বা বীর্যের সঙ্গে রক্ত দেখা দিলেই কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। তা ছাড়া কোমর, পিঠ, বুক এবং পেটের নীচের অংশেও ব্যথা হতে পারে। কমবয়সিরা শীঘ্রপতনের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। প্রস্টেট গ্রন্থি আকারে বড় হয়ে গেলে তা মলাশয়, মলদ্বারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তাই কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্য বা মলত্যাগ করতেও সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy