Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Diet Tips

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করে ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? ৫ ভুলে সব চেষ্টাই বিফলে যাবে

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ অনেকেই আছেন যাঁরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ শুরু করেন না। নেট দেখেই ডায়েট করতে শুরু করেন। দিনের পর দিন ডায়েট করেও সে ক্ষেত্রে সুফল মেলে না। জেনে নিন, ভুলটা কোথায় হয়।

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করলে কোন ভুলগুলি করা যাবে না?

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করলে কোন ভুলগুলি করা যাবে না? ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ১৩:২৮
Share: Save:

চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখাদেখি অনেকেই এখন ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েটের উপর। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না বলেই হয়তো এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই ডায়েটে দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা উপোস করেই কাটাতে হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে সঠিক কায়দায় ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ মেনে চললে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও থাকে চাঙ্গা। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাক হারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত। অনেকেই আছেন যাঁরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে এই ডায়েট শুরু করেন না। নেট দেখেই ডায়েট করতে শুরু করেন। দিনের পর দিন ডায়েট করেও সে ক্ষেত্রে সুফল মেলে না। জেনে নিন, ভুলটা কোথায় হয়।

১) এই ডায়েটে খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি বিধিনিষেধ থাকে না। তাই বলে এই ডায়েট চলাকালীন অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিলে কিন্তু চলবে না। এই ক্ষেত্রেও কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলতে হবে। এই ডায়েট চলাকালীন প্রচুর শাকসব্জি, মাছ-মাংস এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তবে সবই খেতে হবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায়। আপনি যতটা পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন সেই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হচ্ছে কি না সেটাও লক্ষ রাখা যে কোনও ডায়েটের ক্ষেত্রেই ভীষণ জরুরি।

২) অনেকেই ধারণা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার সারতে পারলেই বুঝি এই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করা হয়। এই ডায়েট কিন্তু অনেক ধরনের হয়। এই ডায়েট করার সময় পুষ্টিবিদরা অনেককেই দিনে কেবল এক বার খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ঠিক কত ঘণ্টা অন্তর কতটা পরিমাণ খাবার খাবেন তা-ও বেঁধে দেওয়া হয়। তাই আপনার শরীরের জন্য ঠিক কোন প্রকার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এর প্রয়োজন, তা একমাত্র পুষ্টিবিদই বলতে পারেন।

৩) যে কোনও ডায়েট করলে শুরুর দিকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। আর এই সমস্যার জন্যই অনেকেই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ দীর্ঘ দিন চালিয়ে যেতে পারেন না। ফলে ওজন ঝরানোর স্বপ্ন অধরাই থাকে যায়। এই সমস্যা এড়াতে প্রচুর জল খেতে হবে আর ডায়েটে যেন পর্যাপ্ত মাত্রায় ফাইবার থকে সে দিকেও নজর রাখতে হবে।

৪) এই ডায়েটে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হয়। তবে সেই সময় খাওয়াদাওয়ায় ফাঁকি দিলে কিন্তু চলবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অল্প অল্প করে বেশি বার খাওয়ার খাওয়ার চেষ্টা করুন, সেই সময় খালি পেটে থাকলে চললে কিন্তু মুশকিল।

৫) খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের সঠিক ভারসাম্য রাখা ভীষণ জরুরি। সুষম খাদ্য না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, সখন কিন্তু খুব বেশি দিন এই ডায়েট চালাতে পারবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Diet Tips Intermittent Fasting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE