গ্রীষ্ম মানেই খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়। এই দু্শ্চিন্তা আগামী কয়েক মাসের রোজের সঙ্গী। সকালে রান্নার পর পড়ে থাকা খাবার ফ্রিজে না ঢোকালেই সর্বনাশ। রাতে খেতে বসেই নাকে আসবে গন্ধ। একই ভাবে সতর্ক থাকতে হয় বাজার থেকে আনা সব্জি, ফলমূল নিয়েও। উচ্চ তাপমাত্রায় সেগুলিকে টাটকা রাখার কাজ যেন যুদ্ধসম। এ সব ক্ষেত্রে ফ্রিজ বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যদি আপনার বাড়িতে ফ্রিজ না থাকে, অথবা হঠাৎ তা কাজ করা বন্ধ করে দেয়? কী ভাবে ফলমূল, সব্জিকে এই গরমে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাবেন?
ফ্রিজ ছাড়াও সব্জি ও ফল টাটকা রাখার সহজ কিছু টোটকা শিখে নিন
খাবারদাবার ও ফল-সব্জি খুব বেশি দিন বাসি করবেন না। বাড়িতে ফ্রিজ না থাকলে খুব বেশি হলে দু’-তিন দিনের বাজার করাই ভাল। বেলার রান্না বেলায় করলে খাবার পচে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু বাজার আনার পর কী কী করবেন?
১. পেঁয়াজ, আলু, রসুন, আদা, টম্যাটো এমনিতেই ফ্রিজের বাইরে ভাল থাকে। ফ্রিজের ঠান্ডায় স্বাদের হেরফের হয়। তাই এই জিনিসগুলিকে বাজার থেকে আনার পরই রান্নাঘরের শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখুন। দেখবেন, যেন সরাসরি রোদ না পড়ে।

কোন সব্জি কোথায় রাখলে টাটকা থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
২.আম, কলা, নাশপাতি, টম্যাটো ইত্যাদি নষ্ট হয় গেলে ইথাইলিন গ্যাস নিঃসৃত হয়। আর ইথাইলিনের গ্যাসের সংস্পর্শে এলেই টাটকা আপেল, ব্রকোলি, গাজর, তরমুজ, শাকপাতা পচে যায়। তাই বাজার আনার পর খেয়াল রাখবেন, এই জিনিসগুলি কখনওই পাশাপাশি না থাকে। তা হলে একটির সংস্পর্শে অন্যটিও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
৩. আঙুর বা বেরি জাতীয় ফল জলে ধুয়ে সংরক্ষণ করবেন না। খাবার ঠিক আগে জলে ভিজিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। কিন্তু বেশি ক্ষণ আর্দ্র থাকলে ছাতা পড়ে যায় আঙুরে।
৪. সবুজ শাকপাতায় খুব তাড়াতাড়ি পচন ধরে যায়। গরমের সময়ে শাক কিনে এনে বিশেষ নিয়মে সেটিকে টাটকা রাখতে হয়। একটি ব্যাগে শাকগুলি রেখে তাতে খানিক হাওয়া ভরে সিল করে দিন। এই অবস্থায় চট করে খারাপ হয় না শাক।
৫. সুপারমার্কেটে অনেক সময়ে ফ্রিজে শাকসব্জি সংরক্ষণ করা হয়। সেখান থেকে বাজার করলে বিপাকে পড়বেন। কারণ যেই সব্জি, ফল এক বার ফ্রিজের তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসে, সেগুলিকে ফ্রিজ ছাড়া সংরক্ষণ করা যায় না। কিন্তু বাড়িতে ফ্রিজ না থাকলে একদম টাটকা সব্জির বাজারেই ঢুঁ মারতে হবে।