রোগা হওয়ার ডায়েটেও বাদ পড়বে না মাখন। ছবি: সংগৃহীত।
ভুঁড়ি দিন দিন বেড়েই চলেছে? কিন্তু জিমে যাওয়ার সময় নেই? ডায়েট ঠিকঠাক ভাবে মেনে চললে কিন্তু ওজন ঝরানো সম্ভব। পুষ্টবিদদের মতে, নিয়ম করে পিনাট বাটার খেয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব। ভাবছেন, মাখন খেয়ে কী করে কমতে পারে ওজন? শুনতে অবাক লাগলেও কথাটি সত্যি। জেনে নিন, কী করে তা সম্ভব। পিনাট বাটারে রয়েছে ট্রিপটোফান নামের উপাদান, যা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। তবে এতে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই ওজন ঝরানোর ডায়েটে এই মাখন রাখতে হলে পরিমাণের বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।
রোজের খাদ্যতালিকায় কী ভাবে রাখবেন পিনাট বাটার?
১) কলার সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। তা ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়। পিনাট বাটার ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ৷ ফাইবার-সমৃদ্ধ এই মাখনটি পরিপাক ক্রিয়ার জন্য ভাল। এই মাখন খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকে। টুকটাক অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক কমে।
২) প্রাতরাশে ওট্সের সঙ্গেও পিনাট বাটার খেতে পারেন। যাঁরা ওজন ঝরাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য ওটস-দুধ আর পিনাট বাটারের স্মুদি খুব ভাল জলখাবার। চাইলে স্মুদিতে কলাও দিতে পারেন।
৩) অফিসে বসে কাজের মাঝে প্রায়ই খিদে পায়। তখন ভাজাভুজি, রোল, চাউমিন না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন পিনাট বাটারেই। আপেলের সঙ্গে খান পিনাট বাটার। বিকেলের হালকা খিদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর এই খাবার, সুস্বাদুও বটে।
৪) হোল গ্রেন পাউরুটি টোস্টের সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন।
পিনাট বাটার খাওয়ার সময়ে কোন কথা মাথায় রেখে চলতে হবে?
১) ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে যে পিনাট বাটারে নুন থাকে, তা এড়িয়ে চলাই ভাল। বেশি মাত্রায় নুন শরীরে গেলে শরীরে বেশি মাত্রায় জল জমতে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যায়। এ ছাড়া চিনি মেশানো আছে এমন পিনাট বাটারও না খাওয়াই ভাল।
২) পিনাট বাটার খেতে দারুণ সুস্বাদু। তাই অনেকেই প্রাতরাশ থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা, নানা সময়ে এই মাখন খেয়ে থাকেন। ভাবেন, শরীরের মেদ দ্রুত ঝরবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়। দিনে এক-দু’চামচের বেশি এই মাখন না খাওয়াই ভাল।
৩) স্বাস্থ্যকর বলে আইসক্রিম বা চকোলেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে পিনাট বাটার খাবেন না। খেতে সুস্বাদু হলেও আখেরে শরীরের ক্ষতি করবে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy