নিয়মিত প্লাঙ্ক করলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। ছবি: সংগৃহীত
নির্মেদ শরীর পেতে কে না চায়! কিন্তু জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করার সময় কোথায়? ডায়েটে একটু অনিয়ম হলেই শরীরের মধ্যপ্রদেশে তা জানান দেয় যখন তখন। ভুঁড়ি বাড়ার সমস্যা তাই বাঙালির আর এক চিন্তা!
তবে জানেন কি, হাতে মাত্র এক-দু’মিনিট সময় থাকলেই আপনি ভুঁড়ি কমাতে পারেন? হ্যাঁ, ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা অন্তত তেমনটাই মনে করছেন। তাঁদের মতে, পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতেই হয়। তবে যদি অত সময় না-ও পান, সঠিক নিয়ম মেনে যদি নিয়মিত প্লাঙ্ক করা যায় তা হলেও মেদকে জব্দ করা যায়। এ ক্ষেত্রে সাইড প্লাঙ্ক সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
নিয়মিত এই ব্যয়ামটি অভ্যাস করলে পেট ও কোমরের কোর পেশিগুলির শক্তি বাড়়ে। পেশি টানটান হয়, সঙ্গে মেদ জমে থাকার অবকাশও পায় না। পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভুগলেও এই ব্যয়ামটি দারুণ কাজ করে। বিপাক হার বাড়াতেও এই ব্যয়ামের জুড়ি মেলা ভার। মানসিক অবসাদে ভুগছেন? নিয়মিত প্লাঙ্ক করলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
কী ভাবে প্ল্যাঙ্ক করবেন?
সাধারণ প্লাঙ্ক:
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দু’টিকে সামনের দিকে ভাঁজ করে কাঁধ বরাবর রাখুন। এ বার হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে ঠেলে তুলুন। শরীর উপরে তোলার সময়ে পায়ের শরীরের সমস্ত ভর থাকবে হাতের তালু ও পায়ের বুড়ো আঙুলের উপর। বাকি শরীরটা হাওয়ায় ভাসবে। হাতের কনুই যেন ভাঁজ না হয় সেই দিকে নজর রাখুন। পেটও টেনে রাখবেন ভিতরের দিকে। প্রথম প্রথম দশ সেকেন্ড এমন করে থাকার অভ্যাস করুন। তার পর আয়ত্তে এলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন। দু’পায়ের মাঝে ফাঁকও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমিয়ে আনবেন।
সাইড প্লাঙ্ক:
সাধারণ প্ল্যাঙ্কের মতো করেই উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার একটা হাত মাটি থেকে সরিয়ে নিন। যে হাত সরালেন, সেই দিকের পাকেও তুলে দিন মাটি থেকে। এ বার এক হাতের তালু ও একটা পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে শরীর ভাসিয়ে দিন হাওয়ায়। পেট টেনে রাখুন ভিতরের দিকে। দু’দিকেই একই নিয়মে সাইড প্লাঙ্ক করুন।
প্লাঙ্ক করতে গিয়ে কোন ভুলগুলি করা চলবে না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy