কলার হালুয়া খেয়েছেন কখনও? ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙলে মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। ফ্রিজ খুলে খোঁজ করতে থাকেন, কোথাও যদি চকোলেট কিংবা সরভাজা লুকোনো থাকে। তবে রাতের বেলা এমন মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়িয়ে তুলতে পারে। মোটা হয়ে যাওয়ার ধাত রয়েছে যাঁদের, পুজোর মাসখানেক আগে তাঁরা এই মিষ্টি খেতে থাকলে বিপদ যে আরও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা হলে উপায় কী?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হালুয়া তৈরি করা হয় সাধারণত সুজি বা গাজর দিয়ে। অনেকে বেসনও ব্যবহার করেন। এই উপকরণগুলি ক্যালোরির দিক থেকে অনেকটাই উপরের দিকে। তার সঙ্গে হালুয়ায় চিনি বা ক্ষীর যোগ করলে খেতে তো ভাল লাগেই। পাশাপাশি শরীরের জন্য বিপদও বাড়তে থাকে। তবে হালুয়াকেও কিন্তু স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায়। কী ভাবে? রইল প্রণালী।
উপকরণ:
৬টি পাকা কলা
১ কাপ ঘি
আধ কাপ গুড়
আধ চা চামচ ছোট এলাচের গুঁড়ো
এক মুঠো কাজুবাদাম কুচি
প্রণালী:
১) প্রথমে কলার খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে নিন। মিক্সি বা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন।
২) এ বার কড়াইয়ে আধ কাপ ঘি গরম হতে দিন। ঘি গরম হলে তার মধ্যে দিন কলার মিশ্রণ।
৩) একটু নাড়াচাড়া করতে করতে দেখবেন, কলার রং বদলে গিয়েছে।
৪) অন্য একটি কড়াইয়ে গুড় এবং পরিমাণ মতো জল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সিরা।
৫) এ বার অন্য কড়াইয়ে যে কলার মিশ্রণ রয়েছে, তার মধ্যে ধীরে ধীরে গুড় মিশিয়ে দিতে হবে।
৬) নাড়তে নাড়তে মিশ্রণ আরও খানিকটা ঘন হয়ে আসবে। নামানোর আগে বাকি ঘিটুকু দিয়ে দিতে হবে।
৭) মিশ্রণের ঘনত্ব জেলির মতো হলেই গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
৮) নামানোর আগে উপর থেকে ছোট এলাচের গুঁড়ো এবং কাজুবাদাম কুচি ছড়িয়ে নিতে পারেন।
৯) এ বার পছন্দের মোল্ডে অল্প একটু ঘি ব্রাশ করে কলার মিশ্রণ ঢেলে নিন।
১০) খানিক ক্ষণ ওই ভাবে রেখে দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে ছুরি দিয়ে তা বরফির মতো করে কেটে নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy