যত বারই মনে হয়, এই বুঝি করোনাকে হারিয়ে দেওয়া গেল, ঠিক তত বারই এই রোগ নানান রূপে এসে আমাদের সামনে হাজির হয়।একে শীতের সময়, তার উপর আবার করোনা-হানা। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। সাধারণত হাঁপানি বাড়ে শ্বাসনালীর প্রদাহের ফলে। এই অসুখে ফুসফুসে বাতাস ঢোকার পথগুলি সরু হয়ে ফুলে যায়। মিউকাসও জমতে থাকে সেই পথে। ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তাই এই রোগীদের করোনাকালে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
এই সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার কোনও বিকল্প নেই। তবে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার সুখে পড়তে হয় হাঁপানি রোগীদের। তাই অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এই রোগীদের জন্য কি মাস্ক পরা আদৌ নিরাপদ? এই প্রসঙ্গে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি বলছে, মাস্ক পরার কারণে অ্যাজমার সমস্যা বাড়ার কোনও প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
চিকৎসকদের মতে, অ্যাজমা রোগীদেরও মাস্ক পরতেই হবে। মাস্ক ছাড়া করোনাকে আটকানোর কোনও পথ নেই। তবে এ ক্ষেত্রে এন ৯৫ পরতে সমস্যা হলে সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন।

প্রতীকী ছবি
কিছু বাড়তি সতর্কতা
- যাঁদের নিয়মিত ইনহেলার নিতে হয়, তাঁরা অবশ্যই নিয়ম মেনে ইনহেলার ব্যবহার করুন। ইনহেলারগুলি ভাল ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখাটাও জরুরি।
- ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ— তা হাঁপানির সমস্যাকে বাড়ায়। তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
- বাড়ি থেকে বেরোবেন না। খুব বেশি প্রয়োজনে বেরোতে হলে দুটো মাস্ক পরুন।
- হাঁপানি রোগীরা ইনহেলার ও নির্ধারিত ওষুধ থাকলে সেগুলি সেবন করুন।
- পুষ্টি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
- বাইরের খাবার থেকে যত বেশি দূরে থাকবেন, তত ভাল হবে।
- অ্যাজমা রোগীদের ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।
- নিয়মিত ভাপ নিলেও এই রোগের ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়।
- যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কিন্তু ঠান্ডা জল, আইসক্রিম, ফ্রিজে থাকা দই একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।